হুগলি: জয়ী হলে কী কী করবেন, সেই প্রতিশ্রুতি শোনা যায় সব দলের প্রার্থীর মুখেই। লোকসভা নির্বাচনের আগেও প্রার্থীদের মুখে শোনা যাচ্ছে আশ্বাসের পর আশ্বাস। কেউ বলছেন তৈরি হবে রাস্তা, কেউ বলছেন জলের ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হবে। প্রচারের সেই আবহেই প্রতিশ্রুতির কথা শোনা গেল তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখেও। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকে গত কয়েকদিন ধরে হুগলির নানা প্রান্তে ঘুরে ঘুরে প্রচার চালাচ্ছেন পেশায় অভিনেত্রী রচনা। মানুষ যে তাঁকে কতটা ভালবাসছেন, সে কথাও বলছেন প্রচারে গিয়ে। এবার হুগলিতে একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তিনি জানালেন, জয়ী হলে তাঁর ‘সবথেকে বড় কাজ’ কী হবে।
দিনভর প্রচারের পর রবিবার রাতে হুগলির বেগমপুরের হাটতলায় বসন্ত উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না সহ একাধিক নেতা-নেত্রী। অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “ভোট প্রচারে বেরলে অগুনতি মানুষ যখন এসে বলে দিদি আপনার পাশে আছি, মনে হয় দশ জন্ম পূণ্য করে এটা আমি পেয়েছি।”
যখন মাইকটা ছাড়ছেন, সেই সময় হঠাৎ দর্শকাসন থেকে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ শো-র কথা শুনেই হেসে উঠলেন রচনা। বললেন, আমি দিদি নম্বর ওয়ানে সবসময় বলি, ‘এবার বল’। সেটাই বলব। এবার আপনারাই বলবেন। এরপরই তিনি বলেন, “আরও একটা কথা বলে দিই, আমি যদি বিজয়ী হই, সবথেকে বড় কাজ করব… হুগলির দিদি দের সবার আগে দিদি নম্বর ওয়ানে ডাকব। বলব হুগলি জেলার মানুষ আমাকে জিতিয়ে নিয়ে এসেছে, হুগলি জেলার দিদি-দের আগে ডাক।” উল্লেখ্য, প্রায় ১০ বছর ধরে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’- শোটির সঞ্চালনা করছেন রচনা।
রচনা আরও জানান, হুগলি থেকে বহু মহিলা দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে গিয়েছেন। তাঁরা জগদ্ধাত্রী পূজায় যাওয়ার কথা বলেছেন। এবছর চন্দন নগরের জগদ্ধাত্রী পূজা থেকে বেগমপুরের বিশ্বকর্মা পূজা, সবই দেখবেন বলে জানান রচনা। তিনি এও বলেন, “এবার তো আমার প্রচুর শাড়ি লাগবে। সবসময় শাড়ি পরতে হবে, এবার বেগমপুর থেকে শাড়ি নিয়ে যাব।”