Audio Clip: ‘২ রাত ২ দিন…’, কাজের জন্য মহিলাকে শোয়ার প্রস্তাব তৃণমূল নেতার! ভাইরাল ‘অডিয়ো ক্লিপ’ ঘিরে চাঞ্চল্য

TMC Audio Clip: যদিও এই অডিয়ো কল নিয়ে ওই তৃণমূল নেতা মুখ খুলতে চাননি। বারবার প্রশ্ন করায় তিনি বলছেন, 'পার্সোনাল বিষয় নিয়ে কিছু বলা যায় নাকি!' তবে খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা।

Audio Clip: ২ রাত ২ দিন..., কাজের জন্য মহিলাকে শোয়ার প্রস্তাব তৃণমূল নেতার! ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ ঘিরে চাঞ্চল্য
Image Credit source: GFX- TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Feb 26, 2025 | 9:43 PM

আরামবাগ: হাসপাতালের চাকরির নামে কুপ্রস্তাব! একেবারে একসঙ্গে বিছানায় শোয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা! এমনই এক অডিয়ো ক্লিপ ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। সেখানে শোনা যাচ্ছে, কোনও একটি হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার জন্য শোয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে এক মহিলাকে। এই ইস্যুতে তৃণমূলকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। যাঁর অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল, সেই তৃণমূল নেতা বিষয়টাকে ‘পার্সোনাল’ বলেই উড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

হুগলির গোঘাটের ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিজয় রায় ও এক মহিলার মধ্যে কথোপকথনের কল রেকর্ড ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সেখানে মহিলা বলছেন, তাঁর একটা কাজের প্রয়োজন। একটা ভাল কাজ জোগাড় করে দেওয়ার কথা বলছেন তিনি। বদলে তৃণমূল নেতা তাঁকে দিঘায় ২ রাত ২ দিন শোয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।

ওই কথোপকথনে মহিলা বলছেন, ‘হাসপাতালে কী করতে হবে?’ উল্টোদিক থেকে নেতা বলছেন, ‘কী করতে হবে, সেটা কী করে বলব, আগে কাজে ঢুকতে হবে।’ এরপর মহিলা আবার বলছেন, ‘একটা কাজ দাও। কী করতে হবে বল।’ নেতা বলছেন, ‘দু’রাত দু’দিন…।’ পরে আবার ওই নেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘কাজের জন্য না। এমনি অনেকদিন থেকে যাব যাব করছি।’

যদিও এই অডিয়ো কল নিয়ে ওই তৃণমূল নেতা মুখ খুলতে চাননি। বারবার প্রশ্ন করায় তিনি বলছেন, ‘পার্সোনাল বিষয় নিয়ে কিছু বলা যায় নাকি!’ অন্যদিকে, ওই ব্লকের আর এক তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র পাঁজা বলেন, “যদি এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে, তাহলে দল থেকে তাঁকে আগে সাসপেন্ড করা উচিত। তারপর তদন্তে যদি সঠিক তথ্য উঠে আসে তাহলে আইনগতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

অন্যদিকে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি এই ঘটনায়। গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস নারীদের নিরাপত্তা চাই বলছে, এভাবে কাজের জন্য কুপ্রস্তাব দিচ্ছে। তৃণমূলের সংস্কৃতি লজ্জাজনক।”