
হুগলি: চুঁচুড়া তৈরি হচ্ছে SIR ওয়ার রুম। প্রতি সন্ধ্যায় সেখানে রিপোর্ট জমা দেবেন বিএলএ ২-রা। আর সেই কাজে তাঁদের যদি কোনও আনুষাঙ্গিক সমস্যা হয় তা দেখে নেবে দল। এমনকি, তাঁদের ‘রুটি-রুজিরও’ দায়িত্ব দলেরই। সোমবার চুঁচুড়ার রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন বা এসআইআর কর্মশালায় এই বার্তাই দিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার।
এসআইআর হোক বা নির্বাচন, প্রতিটি ক্ষেত্রে কমিশনের হয়ে একেবারে তৃণমূল স্তরে যাঁরা কাজ করেন তাঁদেরকেই বলা হয় বিএলও। সরকারি কর্মচারী, বিশেষ করে শিক্ষক বা ওই পদমর্যাদা এবং তার চেয়ে নিম্ন পদমর্যাদার কর্মীরা এই বিএলও-র দায়িত্ব গ্রহণ করে থাকেন। অন্যদিকে বিএলএ নিয়োগ করা হয় রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে। ভোট বা ভোটার তালিকার পরিমার্জন, কমিশনের কাজে নিয়োজিত বিএলএ ১ ও বিএলএ ২-রা হলে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। এর মধ্যে বিএলএ ১-এর দায়িত্ব নিয়ে থাকেন সংশ্লিষ্ট জেলার সভাপতি পদমর্যাদার নেতারা। বিএলএ ২-এর দায়িত্ব নিয়ে থাকেন দলের কর্মীরা। তাঁরা ঘোরেন বুথে-বুথে।
বলা চলে এই বিএলএ ২-রা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্ভর করেন দিনমজুরি ভিত্তিক কাজ বা ছোটখাটো চাকরির উপর। তাই এসআইআর পর্বে তাঁদের যাতে কোনও আনুষাঙ্গিক সমস্য়া না হয়, সেটা দেখার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। এদিন তিনি বলেন, ‘বিএলএ ২-দের কাজ বিএলও-দের ছায়াসঙ্গী হয়ে ওঠা। গোটা এসআইআর পর্বে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা আপনারা ওদের সঙ্গেই ঘুরবেন। যাঁরা কোনও বেসরকারি চাকরি করেন তাঁদের বলব, স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা চেষ্টা করব, আপনাদের ছুটির ব্যবস্থা করা যায় কিনা। আর যাঁরা টোটা-অটো চালান, তাঁরা যাতে কোনও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হন, সেটা দল দেখে নেবে।’
ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন নিয়ে প্রথম থেকেই তৎপর রাজ্যের শাসক শিবির। সোমবার চুঁচুড়ায় আয়োজিত কর্মশালা ছিল ওই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিয়েই। বিএলএ ২-রা যাতে আগামী এক মাস বিএলও-দের ছায়াসঙ্গী হয়ে দৈনিক রিপোর্টের ভিত্তিতে কাজ করেন, সেটাই সুনিশ্চিত করেছে তৃণমূল। এদিন বিধায়ক বলেন, ‘বিএলএ ২-দের বলব, আমাদের বিধানসভায় একটা ওয়ার রুম হবে। কতজন ভোটারের নাম তোলা হল, কে বাদ গেল, প্রতিদিন বিকাল ৬টার মধ্যে সেই হিসাব দেবেন। সন্ধ্যা ৮টার মধ্য়ে সেই রিপোর্ট আমাকে অভিষেকের অফিসে পাঠাতে হবে। ‘