হুগলি: ফের মর্মান্তিক ঘটনা। আবারও গঙ্গায় তলিয়ে গেল এক নাবালক। গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় ওই নাবালক এমনটাই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গঙ্গায় স্নান করতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুজি করেন। তারপর খবর দেওয়া থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, নিখোঁজ নাবালকের নাম প্রিয়াংশু পাল (১৭)। প্রিয়াংশু ত্রিবেণী ঘাট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। শনিবার দুপুর নাগাদ সাড়ে বারোটা নাগাদ বাড়ির কাছেই গঙ্গায় স্নানে যায় সে। এরপর দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরে না ওই নাবালক। তখনই সন্দেহ হয় পরিবারের লোকজনের। আশপাশের এলাকা খুঁজে দেখেন তাঁরা।খোঁজ চালান হয় গঙ্গাঘাটেও। তখনই চোখে পড়ে ঘাটে পড়ে রয়েছে তার জামা-প্যান্ট। সেই সকল জামা-কাপড় দেখা মাত্রই পরিবারের সদস্যরা খবর দেন মগড়া থানায়। মগড়া থানার পুলিশ নিখোঁজের তল্লাশি শুরু করেছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও খোঁজ মেলেনি ওই কিশোরের।
প্রিয়াংশুর দাদা সঞ্জীবন পাল বলেন, ‘সাড়ে বারোটার সময় ভাই স্নান করতে গিয়েছিল।তারপর অনেক সময় পরেও বাড়ি না ফেরায় আমরা খোঁজা শুরু করি।অন্যদিন বন্ধুদের সঙ্গে গঙ্গায় স্নান করতে যায়।আজ একাই গিয়েছিল।ঘাটে গিয়ে দেখতে পাই ওর প্যান্ট-গামছা পরে রয়েছে।তখন পুলিশে খবর দিই।’
অন্যদিকে, বলাগড় ব্লকের জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হাটতলাতে বাপি মণ্ডল নামে বছর বারোর এক কিশোরের জলে ডুবে মৃত্যু হয়। সকালে বাড়ির পাশের গঙ্গার খালে ঠাকুমার সঙ্গে স্নান করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। দোলের দিন থেকে শুরু করে শনিবার পর্যন্ত চুঁচুড়া চন্দননগর ব্যান্ডেলের গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১২ জনের। এবার ত্রিবেণী ও বলাগড়ের ঘটনা। প্রত্যকটাই স্নান করতে নেমে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতন করা হলেও হুঁশ যে ফিরছে না তা বলাই চলে।