Dankuni Illegal Construction: পুরসভাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে নির্মাণকাজ, বর্ষায় জলযন্ত্রণা দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের
Dankuni: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণ সুভাষপল্লীতে পুরসভার অনুমতি ছাড়াই অবৈধ নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে একটি বেসরকারি সংস্থা।
ডানকুনি: অনুমতি নেই, কিন্তু তাতে আবার কাজে বাধাও নেই। তাই পুরসভারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই ডানকুনির দক্ষিণ সুভাষপল্লীতে রমরমিয়ে চলছে গোডাউন তৈরির কাজ। এদিকে, পুরসভার নির্বিকার অবস্থানের ভুক্তভোগী ওয়ার্ডের আম জনতা। নিকাশির কোনও মাধ্যম না রেখেই তৈরি হওয়া গোডাউনের কারণে এলাকায় জল যন্ত্রণা চরম থেকে চরমতর হচ্ছে হলে অভিযোগ। যদিও পুরসভার দাবি, এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে অবৈধভাবে বেশকিছু পাঁচিল তৈরি করা হয়েছে। যার কারণেই এলাকায় জল নিকাশের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই ইতিমধ্যেই কাজ বন্ধ করতে চিঠি দিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই সংস্থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণ সুভাষপল্লীতে পুরসভার অনুমতি ছাড়াই অবৈধ নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে একটি বেসরকারি সংস্থা। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার বাধা সৃষ্টি হলেও রমরমিয়ে সেই গোডাউন তৈরির কাজ চলছে বলে অভিযোগ। আর এই নির্মাণের কারণে আসন্ন বর্ষা এলাকার জমা জলের যন্ত্রণা আরও দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা।
প্রশান্তকুমার পাল নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘এলাকার জল নিকাশি ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গোডাউনে এলাকাটি। কিন্তু সেই বিষয়টির তোয়াক্কা না করেই কাজ হচ্ছে। ফলে আসন্ন বর্ষার জল যন্ত্রণা আরও বাড়বে। কারণ এমনিতেই বৃষ্টির জল প্রায় তিনমাস জমে থাকে এই ওয়ার্ডে। গোডাউনটির অবৈধ নির্মাণের জন্য বিকাশের মাধ্যম বন্ধ হয়ে গেলে তা আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। পুরসভার তরফে এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ডানকুনি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রকাশ রাহা বলেন, ‘স্থানীয় কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে আমরা এলাকা পরিদর্শন করেছি। অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ চালানোর বিষয়টি আমাদের পরিদর্শনে উঠে এসেছে। আমরা চাই গোডাউন তৈরি হোক। তাতে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু পাশাপাশি দেখতে হবে যাতে এর ফলে সাধারণ মানুষের অন্য সমস্যা তৈরি না হয়। আমরা চিঠি দিয়ে নির্মাণ বন্ধ করার কথা বলেছি।’
এদিকে স্থানীয় কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গোডাউন সংস্থাটি যেভাবে পাঁচিল দিচ্ছে তাদের সাধারণ মানুষের আশঙ্কা যে যন্ত্রণা বাড়তে পারে। সাধারণ মানুষের সেই আশঙ্কার দিকটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত।’ প্রসঙ্গত, প্রতিদিন বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। পুরসভার তরফে নির্মাণকাজটি অবৈধ বলে ঘোষণার পর সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, তাহলে কীভাবে এতদিন ধরে কাজ করছিল সংস্থাটি?