AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Keshpur TMC Leader Missing: আত্মীয়র বাড়ি যাব বলে বেরিয়েছিলেন, তারপর থেকেই ‘উধাও’ দাপুটে এই তৃণমূল নেতা

Keshpur: চলতি মাসের ৪ তারিখেই একটি সাংগঠনিক বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল আনন্দপুরে। সেই বৈঠকে অন্যান্য বুথ সভাপতিরা উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন আনন্দ রায়।

Keshpur TMC Leader Missing: আত্মীয়র বাড়ি যাব বলে বেরিয়েছিলেন, তারপর থেকেই 'উধাও' দাপুটে এই তৃণমূল নেতা
নিখোঁজ নেতার স্ত্রী ও ছেলে (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2022 | 3:13 PM
Share

কেশপুর: আত্মীয় বাড়ির যাওয়ার উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু দু’দিন কেটে যাওয়ার পরও মেলেনি খোঁজ। এদিকে, যাঁর বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল সেখানেও পৌঁছাননি বলে খবর। তাহলে কোথায় গেলেন তৃণমূলের এই বুথ সভাপতি? ইতিমধ্যে থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

নিখোঁজ ওই তৃণমূল নেতার নাম আনন্দ রায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের আগর বুথের তৃণমূল সভাপতি তিনি। এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত আনন্দবাবু। চলতি মাসের চার তারিখে আত্মীয়র বাড়ি যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই নিখোঁজ এই দাপুটে তৃণমূল নেতা। রাতভর খোঁজাখুঁজির পরেও কোথাও সন্ধান না পেয়ে অবশেষে আনন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তৃণমূল নেতার ছেলে রত্নদীপ রায়ের দাবি, অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে তাঁর বাবাকে। তিনি বলেন, “মাকে বলেই ওই দিন রাতে বাবা বেরিয়েছিলেন। বলেছিলেন পিসিমণির বাড়িতে যাবেন। আমরা কোনও সন্দেহ করিনি কারণ বাবা বিকেল হলেই বাইরে যেতেন। আর দেরি হত বাড়ি ফিরতে। এবার রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পিসিকে ফোন করি। কিন্তু জানতে পারি তিনি সেখানে যায়নি। এরপর যে চা দোকানে গিয়ে বাবা আড্ডা মারতেন সেই দোকানেও যাই আমরা। দেখি বাবার বাইক রয়ছে, কিন্তু চাবি নেই। মনে হচ্ছে কেউ বাবাকে অপহরণ করেছে।” বাবার অপহরণের কথা বলতে গিয়ে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্ত্রী অরুণা রায়।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৪ তারিখেই একটি সাংগঠনিক বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল আনন্দপুরে। সেই বৈঠকে অন্যান্য বুথ সভাপতিরা উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন আনন্দ রায়। জানা গিয়েছে, এলাকাতেই একটি ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আনন্দ। তবে কী কারণে অপহরণ বা কীভাবে অপহরণ তা নিয়ে ধন্দে গোটা পরিবার।

উল্লেখ্য, অতীতে একাধিকবার কেশপুরের সাহসপুর, আগর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এমনকী একাধিক সময়ে ঘটেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনাও। তবে অপহরণের পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দিহান শাসক দলের নেতারা। শাসকদলের তরফে অবিলম্বে নিখোঁজ নেতাকে খুঁজে বের করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে।

আরও পড়ুন: Siliguri Visa Office: আর কয়েকদিন, এবার শিলিগুড়ি থেকেও মিলবে বাংলাদেশের ভিসা