High Court: ‘ছেলেটি মরে গিয়েছে বাবা… ছাড়ব না এত সহজে’, শরীরে হিলিয়ামের বিষ দেখে অবাক বিচারপতি ঘোষ

High Court: সম্প্রতি ওই যুবকের বাড়ির লোক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে আবেদন জানান। কিন্তু তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় জেল কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়, তাঁদের ছেলে হাসপাতালে ভর্তি।

High Court: 'ছেলেটি মরে গিয়েছে বাবা... ছাড়ব না এত সহজে', শরীরে হিলিয়ামের বিষ দেখে অবাক বিচারপতি ঘোষ
Image Credit source: Getty Image
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 09, 2025 | 8:15 PM

জলপাইগুড়ি: পকসো মামলায় জেলে বন্দি ছিলেন এক যুবক। ২০২২ সালে নিম্ন আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিলেন তিনি। এবার হাইকোর্টে আবেদন জানাবেন, এমনটাই পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল অঘটন। আর সে কথা জানতেও পারলেন না তাঁর বাবা-মা। জেল হেফাজতে থাকাকালীন কবে তিনি অসুস্থ হলেন, কখন তাঁর মৃত্যু হল, তার কোনোটাই পরিবার জানতে পারেনি বলে অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত মামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। জেল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই যুবকের বাড়ির লোক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে আবেদন জানান। কিন্তু তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় জেল কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়, তাঁদের ছেলে হাসপাতালে ভর্তি। জানতে পারে বাবা-মা ছোটেন হাসপাতালে। ততক্ষণে ছেলের মারা গিয়েছে। বাড়ির লোককে জানানো হয়নি! এই ঘটনার পরই আদালতের দ্বারস্থ হয় মৃতের পরিবার। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলার শুনানি।

মৃতের পরিবারের তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী ড. অর্জুন চৌধুরী ও সরকার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হীরক বর্মণ। উভয়পক্ষের কথা শুনে বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এদিন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ওই বন্দির শরীরে হিলিয়ামের উপস্থিতি ছিল। কীভাবে এটা সম্ভব হল? জেলখানায় কী খেয়েছিলেন ওই যুবক? হিলিয়াম শরীরে ঢুকল কী করে? বিষক্রিয়াই বা হল কী করে? এই সব প্রশ্নের উত্তর চেয়ে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি ঘোষ। তিনি বলেন, “ছেলেটি মরে গিয়েছে বাবা… এত সহজে ছাড়ব না। বন্দি হিসেবে রাখলে প্রশাসনকে তো দায়িত্ব নিতেই হবে।” তিনি জানিয়েছেন, এমন রিপোর্ট দিতে হবে যাতে কোর্ট সন্তুষ্ট হয়।