AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fraud in Hooghly: দশ টাকার জন্য খোয়া গেল হাজার হাজার টাকা! ফেসবুকে নতুন প্রতারণা চক্রের ফাঁদে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা

Fraud in Hooghly: স্বাভাবিক ভাবেই টাকা অঙ্ক শুনে নিজের খুশি ধরতে রাখতে পারেন না তিনি। এরপর আগুনে ঘি ঢালার মতোই সঞ্জীব বাবুকে ওই বিজ্ঞাপনদাতারা বান্ডিল বান্ডিল টাকার ভিডিয়ো পাঠায়। বলে এখন সেই টাকার মালিক হয়ে গিয়েছেন উত্তরপাড়ার সঞ্জীব মল্লিক।

Fraud in Hooghly: দশ টাকার জন্য খোয়া গেল হাজার হাজার টাকা! ফেসবুকে নতুন প্রতারণা চক্রের ফাঁদে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা
প্রতারণার শিকার সঞ্জীব মল্লিকImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2025 | 11:03 PM
Share

হুগলি: বাড়িতে পুরনো নগদ টাকা বা কয়েন রয়েছে? হামেশাই শুনেছেন, সময়ের কালে অচল টাকার দাম বাড়ে। এই একই কথা লোকের মুখে শুনেছিলেন সঞ্জীব মল্লিকও। তিনি উত্তরপাড়ার শান্তি নগরের বাসিন্দা। পুরনো টাকা জমানোর শখ তার নেই। কিন্তু বেশ কিছু অচল টাকা তার কাছে রয়েছে। আর তাতেই ঘটল বিপদ। ১০ টাকার জন্য খোয়া গেল হাজার হাজার টাকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ফেসবুকে একটি বিজ্ঞাপন দেখেছিলেন সঞ্জীব বাবু। বিজ্ঞাপনটি ছিল পুরনো টাকা কেনার। তা দেখে তার মনে একটু ফায়দা তোলার আকর্ষণ হয়। বাড়িতে কিছু পুরনো আমলে পাঁচ-দশ টাকার কয়েন ও নগদ পড়েই ছিল। কাজে লাগে না। তাই ভাবেন যে বিক্রি করে যদি একটু লাভের মুখ দেখা যায়, তা হলে মন্দ হবে না। আর তাতেই হল কাল।

বিজ্ঞাপন দেখে ক্রেতাদের সঙ্গে ফেসবুকেই যোগাযোগ করেন তিনি। ছবি পাঠিয়ে দেন তার কাছে থাকা টাকাগুলির। যা দেখে বিজ্ঞাপনদাতারা জানান, সেই টাকাগুলি নাকি খুবই মূল্যবান। তাই তার বিনিময়ে মোট ৪৫ লক্ষ টাকা পাবেন সঞ্জীব বাবু। স্বাভাবিক ভাবেই টাকা অঙ্ক শুনে নিজের খুশি ধরতে রাখতে পারেন না তিনি। এরপর আগুনে ঘি ঢালার মতোই সঞ্জীব বাবুকে ওই বিজ্ঞাপনদাতারা বান্ডিল বান্ডিল টাকার ভিডিয়ো পাঠায়। বলে এখন সেই টাকার মালিক হয়ে গিয়েছেন উত্তরপাড়ার সঞ্জীব মল্লিক।

কিন্তু এত পরিমাণ টাকা হাতে পেতে কিছু সামান্য প্রসেসিং ফি লাগবে বলেও সঞ্জীববাবুকে ওই বিজ্ঞাপনদাতারা জানান। তাতে রাজি হয়ে যান তিনি। ৪৫ লক্ষ টাকার ব্যাপার। একটু গ্যাঁটের কড়ি খসলে কিই বা যায় আসে। তিনি ধরতে পারেন না আসল খেলাটা সেখানেই। ততক্ষণে প্রতারণার জাল পুরোটাই বুনে ফেলেছে প্রতারকরা। আর তাতে লাফ দেবেন বলে একেবারে কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছেন সঞ্জীব বাবু।

সঞ্জীব বাবুর অভিযোগ, এই প্রসেসিং ফিয়ের নাম করেই তার থেকে প্রায় ১২ হাজার টাকার অধিক হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। যতক্ষণে তিনি বুঝতে পেরেছেন যে গোটাটাই ততক্ষণে আর পাত্তা নেই ওই ‘ক্রেতার’। এদিন তিনি জানান, ‘কোনও ভাবে সেই ১২ হাজার টাকা জোগাড় করে ওদের দিয়েছিলাম। কিন্তু সবটাই মিথ্যা। আরও টাকা চাইছিল। প্রতারণা চলছে বুঝেই সমঝে যাই। আমি প্রতারিত হয়েছি। অন্য়রা যাতে না হয় তাই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে এসেছি।’