হুগলি: প্রবল দাবদাহে (Scorching Heat) পুড়ছে বাংলা। এরইমধ্যে প্রবল গরমে রাস্তায় বেরিয়ে পর পর দু’টি মৃত্যুর খবর সামনে এল। হাওড়ায় এক টোটো চালকের মৃত্যুর পর হুগলির বৈদ্যবাটিতেও গরমে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। সোমবার বাজারে বেরিয়েছিলেন বৈদ্যবাটির শ্যামলকুমার দাস (৭৪)। রাস্তায় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দিলে চিকিৎসককে ডাকা হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসক জানান, মৃত্যু হয়েছে শ্যামলবাবুর। গত সপ্তাহের শেষ থেকেই হু হু করে চড়ছে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা। আগামী তিন চারদিন এই ছবিতে বদলের সম্ভাবনা খুবই কম। লু বইছে একাধিক জেলায়। তাপপ্রবাহের সতর্কতাও রয়েছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমানে। এরইমধ্যে বর্ধমান ঘেঁষা জেলা হুগলির বৈদ্যবাটিতে এই ঘটনা। হুগলিতে সোমবার তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। দোসর আর্দ্রতা। দরদর করে ঘাম, ঘরে বাইরে চরম অস্বস্তি। এরইমধ্যে এদিন সাইকেল নিয়ে বাজার করতে বের হন শ্যামলকুমার দাস। তাঁর বাড়ি বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এনটি রোডে। বৃদ্ধের নাতনি অর্পিতা দাস জানান, শেওড়াফুলি হাটে এদিন বাজার করতে গিয়েছিলেন তাঁর দাদু। গরমের কারণে সকাল সকালই বেরিয়ে ছিলেন বাড়ি থেকে। সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় হঠাৎই শরীর খারাপ করে ফেলে।
সাইকেল থেকে নেমে স্থানীয়দের কাছ থেকে জল চেয়ে চোখে মুখেও দেন। কিছু সময় দাঁড়িয়ে একটু ধাতস্থ হয়ে আবার সাইকেলে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। অর্পিতা জানান, বৈদ্যবাটির পোদ্দারঘাট এলাকায় সাইকেলে উঠতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে পড়ে যান তাঁর দাদু। স্থানীয়রা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে শ্যামলকুমার দাসকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যান। খবর দেওয়া হয় ডাক্তারকে। চিকিৎসক এসে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলেই পরিবারের দাবি।
এদিনই আবার হাওড়ার শানপুর মোড়ে এক টোটো চালকের মৃত্যু হয়। হিট স্ট্রোকে মারা যান তিনি। বাসু মণ্ডল নামে ৫৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সোমবার টোটো নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। বেরোনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই গরমে শরীর খারাপ করে তাঁর। স্থানীয়রাই উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ডাক্তাররা চিকিৎসা করার সুযোগ পাননি। তার আগেই মৃত্যু হয় ওই টোটো চালকের।