হুগলি: দুই বোন স্নান করতে গিয়েছিল ক্যানালে। হঠাৎই ছোটজন পা পিছলে পড়ে যায়। জলের তোড়ে বোন ভেসে যাচ্ছে দেখে টেনে তুলতে যায় ১৩ বছরের দিদি। এরপর বোনকে তুলতে পারলেও নিজে ভেসে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই কিশোরীর। পুলিশও তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি কাশিদা খাতুন নামে সপ্তম শ্রেণির ওই কিশোরীর। হুগলির পাণ্ডুয়া বোসপাড়া ক্যানেলপাড় এলাকার এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খোঁজ নেই সন্তানের। কেঁদে ভাসাচ্ছেন মা।
পাণ্ডুয়ার বোসপাড়া ক্যানাল পাড় এলাকার বাসিন্দা সাবিরা বিবি। তাঁরই বড় মেয়ে কাশিদার ১৩ বছর বয়স। স্থানীয় সুলতানা হাইমাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বোন রাজিয়া খাতুনকে বাড়ির কাছের ওই ক্যানালে যায় সে। ক্যানালের জলে স্নান করতে নামে দু’বোন।
হঠাৎই রাজিয়া পা পিছলে ডুবে যেতে থাকে। বোনকে তলিয়ে যেতে দেখে ঝাঁপ দেয় দিদি কাশিদা। এলাকার লোকজন জানান, দু’জনই ডুবে যাচ্ছিল। সেই সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি এই ঘটনা দেখতে পেয়ে তাড়াতাড়ি একজনকে হাত ধরে টেনে তোলে। রাজিয়াকে তোলা গেলেও অতলে তলিয়ে যান অন্যজন।
সঙ্গে সঙ্গে পাণ্ডুয়া থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ জাল পেতে উদ্ধারকাজে নামে। ইতিমধ্যেই ডিভিসি দু’টি গেট বন্ধ করে দিয়েছে। তবে এলাকায় অন্ধকার হওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে উদ্ধারকাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। শুক্রবার পুলিশ ফের ডুবুরি নামিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করবে।
কাশিদার মা সাবিরা বিবি বলেন, “পা পিছলে বাচ্চাগুলো পড়ে গিয়েছিল। একটাকে বাঁচানো গেল। আরেকটাকে তুলতে পারেনি। ওরা স্নান করতে গিয়েছিল। এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতেও পারছি না। অনেক খুঁজেছি। পেলাম না। পুলিশ এসেও জাল ফেলে কিছু পায়নি।” ছোট্ট রাজিয়া বলেন, “আমি পিছলে পড়ে গেছিলান। দিদি আমাকে বাঁচাতে এল। এরপরই ও ডুবে গেল।” সাবিরার একটাই প্রার্থনা, সুস্থভাবে মেয়েটা যেন ঘরে ফিরে আসে।
আরও পড়ুন: Anarul Arrested on Bagtui Massacre: কে আনারুল হোসেন? কেন তড়িঘড়ি গ্রেফতার করালেন মমতা?