Core Committee Meeting: উঠল না অডিয়ো প্রসঙ্গ, বিতর্কের পর কেষ্ট-কাজলদের প্রথম কোর কমিটির বৈঠকে কী নিয়ে কথা হল

Core Committee Meeting: আগে কমিটির ৭ সদস্যের মধ্যে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, কাজল শেখ, চন্দ্রনাথ সিনহা, সুদীপ্ত ঘোষ,অভিজিৎ সিংহ, বিকাশ রায় চৌধুরী, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নির্দেশে এখন থেকে কোর কমিটিতে থাকছেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় ও বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল।

Core Committee Meeting: উঠল না অডিয়ো প্রসঙ্গ, বিতর্কের পর কেষ্ট-কাজলদের প্রথম কোর কমিটির বৈঠকে কী নিয়ে কথা হল
কী কী বিষয়ে আলোচনা হল বৈঠকে Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 21, 2025 | 7:52 PM

বোলপুর: অডিয়োকাণ্ডে জেরবার কেষ্ট। কাজলের নাম জড়িয়ে দিয়েছিল বিজেপি। কয়েকদিন আগে দুজনেই এসেছিলেন কলকাতায়। দু’জনকেই বকা খেতে হয়েছিল ফিরহাদদের কাছে। এরইমধ্যে বীরভূমে হয়ে গেল কোর কমিটির বৈঠক। বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়েই বসল আসর। যোগ দিলেন শতাব্দী রায়, অভিজিৎ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ রায় চৌধুরীরা। এলেন কাজল শেখও। আর সেখানেই ফের স্বমহিমায় দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডলকে। একুশে জুলাই থেকে দুয়ারে রেশনের মাধ্যমে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ বিতরণ, কথা হল একগুচ্ছ বিষয় নিয়ে। 

সম্প্রতি বদলে গিয়েছে বীরভূম তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরের খোলনলচে। জেলা সভাপতি পদটাই তুলে দেয় দল। ফলে বাকিদের মতো এখন শুধুই কোর কমিটির সদস্য অনুব্রত। আগে কমিটির ৭ সদস্যের মধ্যে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, কাজল শেখ, চন্দ্রনাথ সিনহা, সুদীপ্ত ঘোষ,অভিজিৎ সিংহ, বিকাশ রায় চৌধুরী, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নির্দেশে এখন থেকে কোর কমিটিতে থাকছেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় ও বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল। 

সূত্রের খবর, ২৫ তারিখ জেলা কমিটির বৈঠক ডাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আলোচনা শেষে ঠিক হয় তা হবে ২৯ তারিখ। অন্যদিকে ২১ জুলাইয়েও বীরভূম থেকে বড় সংখ্যক লোক নিয়ে যেতে চাইছেন কেষ্ট-কাজলরা। তা নিয়েও এদিন পুরোদমে কথা হয়। যতটা বেশি সম্ভব লোক নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। প্রত্যেক বিধায়ক, সংসদরা তার নিজে নিজের এলাকায় সংগঠনে যোগদের জোর দেবে বলেও ঠিক হয়েছে। অন্যদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের বৈঠকে অনুব্রতর অডিয়ো প্রসঙ্গ নিয়ে কেউ কোনও কথা বলেলনি। কথা বললেনি কেষ্ট নিজেও। সূত্রের খবর এমনটাই। তবে দলের বিভাজন সৃষ্টিকারী কোনও মন্তব্য করা যাবে না। দলীয় নেতাদের এই বার্তাও দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। তবে কী ফিরহাদদের ‘বকা’ খেয়ে এবার দ্বন্দ্ব ভুলে বিধানসভার ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন বীরভূমের ‘বাঘ-সিংহরা’? কুণাল ঘোষ যদিও বলছেন, “অনুব্রত-কাজলের দ্বন্দ্ব নেই। এত বড় পরিবার ও এত বড় দলের মধ্যে কারও কারও মত পার্থক্য থাকতে পারে। বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত আর কাজল রাম-লক্ষ্মণ জুটি।”