Hooghly: বাঁশবাগানের পিছনে বিবস্ত্র দেহ কার! দিনভর তল্লাশির পর মিলল কানাইপুরের নাবালিকার দেহ?
Hooghly: পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন, খুন ও ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।

হুগলি: দিনভর স্নিফার ডগকে নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এমনকী পুলিশ কুকুরের ইঙ্গিত পেয়ে পুকুরে তল্লাশিও চালানো হয় বৃহস্পতিবার দুপুরে। দিনভর তল্লাশির পর অবশেষে বাঁশবাগানে মিলল এক নাবালিকার দেহ। কানাইপুরের যে নাবালিকা গত দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিল, তারই দেহ মিলল কী? শনাক্ত করার জন্য ডাকা হয়েছে পরিবারের সদস্যদের। ক্ষোভে ফেটে পড়ছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাবালিকার বাড়ি থেকে প্রায় দু কিলোমিটার দূরে নপাড়া এলাকায় পুকুরপাড়ে একটি বাঁশবাগানের পিছনে ফাঁকা মাঠে পড়েছিল নাবালিকার দেহ। স্থানীয় এক বাসিন্দা দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। তাদের দাবি দেহ বিবস্ত্র অবস্থায় পড়েছিল, উল্টে পড়েছিল দেহ।
খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেন পরিবারকে দেহ দেখতে দেওয়া হল না, সেই অভিযোগে ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবারের লোককে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেহ শনাক্ত করার জন্য।
পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন, খুন ও ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
অভিযোগ, গত মঙ্গলবার বিকেল চারটের সময় কানাইপুর কলোনির বাসিন্দা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বছর ১৩-র ওই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী এক যুবক। তারপর থেকে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
চন্দননগর পুলিশের কমিশনার অমিত পি জাভালগি, ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস,এসিপি আলী রাজা সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, যেদিন থেকে ওই নাবালিকা নিখোঁজ ছিল, সেই রাতেই অসীমকে চেপে ধরা হয়। মদ্যপ অবস্থায় অসীম একবার বলেই ফেলেছিলেন, তিনি নাবালিকাকে মেরে পুঁতে দিয়েছেন। তারপর থেকে ওই যুবকও বেপাত্তা।
