Narendrapur: স্বামীর সঙ্গে গন্ডগোলে বাড়ি ছেড়েছিলেন, আত্মীয়ের বাড়িতে খুন গৃহবধূ

এক যুবকের সঙ্গে ওই গৃহবধূর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে তাঁর স্বামী সন্দেহ করতেন। আত্মীয় বাড়িতে এসে খুন গৃহবধূ।

Narendrapur: স্বামীর সঙ্গে গন্ডগোলে বাড়ি ছেড়েছিলেন, আত্মীয়ের বাড়িতে খুন গৃহবধূ
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 28, 2023 | 11:49 PM

নরেন্দ্রপুর: ভরদুপুরে বাড়িতে একাই ছিলেন এক তরুণী গৃহবধূ। সেই সময়ই বাড়িতে ঢুকে তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর বিকালে পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরে ওই গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর মাথায়, ঘাড়ে, মুখে এবং গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার গঙ্গা জোয়ার এলাকায়। যদিও কে বা কারা, কেন গৃহবধূকে খুন করল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই ঘটনার পিছনে ত্রিকোণ প্রেম রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মানসী হালদার (২৬)। নরেন্দ্রপুরের গঙ্গা জোয়ার এলাকায় পিসির বাড়িতে খুন হন তিনি। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাথায়, ঘাড়ে, মুখে এবং গলায় কোপানো হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে পরিচিত কেউ নাকি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কোনও বিষয় আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গৃহবধূর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসী হালদারের বাড়ি ঢোলাহাট থানা এলাকায়। ২০১৬ সালে ঢোলাহাট এলাকারই বাসিন্দা প্রসেনজিৎ হালদারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ওই দম্পতির বছর চারেকের এক ছেলে আছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর স্বামী অত্যাচার করত। স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই গন্ডগোল চলছিল। এরই মধ্যে এক যুবকের সঙ্গে ওই গৃহবধূর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে তাঁর স্বামী সন্দেহ করতেন। অশান্তির জেরে মানসী ছেলেকে নিয়ে নরেন্দ্রপুরের গঙ্গা জোয়ারাতে তাঁর এক পিসির বাড়িতে থাকছিলেন। এদিন দুপুরে ওই পিসির বাড়িতেই তাঁর নৃশংসভাবে মৃত্যু হয়।

বাড়িতে যখন কেউ ছিলেন না, তখনই এই ঘটনা ঘটে এমনই অনুমান পুলিশের। পিসির বাড়ির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এদিন সকালে মানসীর পিসি কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। দুপুরে তাঁর ছেলে পাশের বাড়িতে সরস্বতী পুজো উপলক্ষে নেমন্তন্ন খেতে গিয়েছিল। সেই সময়ই কেউ বা কারা বাড়িতে ঢুিকে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে বলে অভিযোগ। এরপর বিকালে পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ফিরে মানসীর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান এবং পুলিশে খবর দেন। তবে মানসীকে খুন করার সময় তিনি নিশ্চয়ই আর্ত চিৎকার করেছিলেন। তা সত্ত্বেও প্রতিবেশীরা কেন কেউ ছুটে এলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ত্রিকোণ প্রেম নাকি অন্য কোনও কারণ- মানসীর খুনের ঘটনায় সবদিক খতিয়ে তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মানসীর স্বামীকেও সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখছে না পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।