হাওড়া: ছাত্রনেতা আনিস কাণ্ডের মৃত্যুতে নয়া মোড়। ঘটনার রাতে আমতা থানায় নাইট ডিউটিতে থাকা সব পুলিশ কর্মীদের তলব করা হয়েছে। ওসি-সহ সব পুলিশ কর্মীদের ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে। এই নিয়ে চতুর্থবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃত দুই অভিযুক্তের টিআই প্যারেডের পর নিজেদের হেফাজতে নিয়ে চায় সিট। উলুবেড়িয়া আদালতে সে বিষয়ে আবেদনও জানাতে চলেছেন তদন্তকারীরা। ধৃত ২ জনকে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। গ্রেফতারের পর তাঁদের জেরা করাই সম্ভব হয়নি। টিআই প্যারেড অত্যন্ত দ্রুত করতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত থাকতে পারেন, অভিযুক্তদের কাছ থেকে সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতারের পর ধৃতরা সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেছিলেন, তাঁরা ওসির নির্দেশেই আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ওসি আদৌ কী বলেছিলেন, সেটা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ওসির বয়ানও মিলিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ওসির নির্দেশে কারা কারা ওই রাতে বেরিয়েছিলেন রেড করতে, সেটা জানা তদন্তকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার ভোর রাতে আমতায় গিয়েছিল পুলিশ। গিয়েছিলেন আমতার এসডিপিও ও আমতার দু নম্বর ব্লকের বিডিও। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাঁদের দেহ তুলতে না দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, আনিসের বাবা সেলিম খান আবেদন জানিয়েছিলেন, যাতে আনিসের দেহ সোমবার কবর থেকে তোলা হয়। কিন্তু পুলিশ কেন শনিবারই দেহ কবর থেকে তোলার জন্য এসেছিল? গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, তাহলে কি দেহ সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল? গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে পিছু হঠতে হয় পুলিশ কর্মীদের। গ্রামের মহিলারা পুলিশকে কবর স্থান পর্যন্ত পৌঁছতেই দেননি। তাঁরাই ঘিরে রাখেন এলাকা। আনিসের দাদা সাবির খান বলেছেন, সিটের কাছে আবেদন করার পরও যখন সিট অন্য দিনে আসছে, তখন একটা অনাস্থার জায়গা তৈরি হচ্ছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সিটের কাজে যদি হাইকোর্ট সন্তুষ্ট হয়, তাহলে তাঁরা রায় মেনে নেবেন। না হলে প্রয়োজন পড়লে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবেন তাঁরা।
পাশাপাশি আনিসের দাদা সাবির খানের কাছে আসা হুমকি ফোনের ঘটনায় এবার লিখিত অভিযোগ দায়ের হল। শনিবার সকালে আমতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আনিসের দাদা সাবির খান। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সেই কলটিকে ট্রেস করার চেষ্টা চলছে।আনিসের পরিবারের কাছে বলা হয়েছিল, ফোনটি নাকি বাংলাদেশ থেকে এসেছে। আদৌ সেটা সত্যি কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh on TMC : ‘এসপি-কে কেন সরানো হয়নি!’ আনিসের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের