হাওড়া: আনিস (Anis Khan) মৃত্যুতে পুলিশকে দোষারোপে অনড় পরিবার। জানা গিয়েছে, পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলেই দাবি করছে পরিবার। এদিকে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মিলেছে মদের প্রমাণ। সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তিরিশ ঘণ্টা পরও কেন গ্রেফতারি নয়? প্রশ্ন তুলে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন আনিসের বাবা।
কী জানালেন আনিসের বাবা?
‘ময়নাতদন্ত কীভাবে হয়ে গেল? পুলিশ আমার ছেলেকে খুন করল আর তারপর আড়াল করেই হয়ে গেল ময়নাতদন্ত। নিজেদের আড়াল করতেই পুলিশ এই কাজ করেছে। সেই কারণে পুলিশকে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। তাদের উপর ভরসা রাখতে পারছি না। তাই সিবিআই তদন্ত চাইছি। আমতা থানার পুলিশ যখন খুন করতে পারে তাহলে তারা আর কী তদন্ত করবে?’
যদিও, ছাত্র নেতার মৃত্যুতে এবার দায়িত্ব হাতে নিতে পারে সিআইডি। প্রাথমিক অনুসন্ধানের কাজও শুরু করেছে তারা। হাওড়া জেলা পুলিশের কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য-রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এদিকে,
রবিবার সকাল থেকেই দফায়-দফায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আমতাবাসী। এলাকাস্থানে পুলিশ পৌঁছলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু হয়। বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। গোটা বিষয়ে আমতা থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সস্পেক্টর সুরজিৎ পাত্র বলেন, “যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি অবশ্যই তদন্ত করছেন। ৩০২ ধারায় মামলা রজু হয়েছে। ফরেন্সিক টিম আসবে। তারা এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। সেই কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। পুলিশ তার কাজ করছে।”
প্রসঙ্গত, আইএসএফ করতেন আনিস। এর আগে বাগনান কলেজে পড়ার সময় এসএফআইয়ের সমর্থক ছিলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে খুন করা হয়েছে তাঁকে। শুক্রবার রাতে, তাঁর বাড়িতে ‘পুলিশ’ গিয়েছিল। অভিযোগ উঠছে, তিন সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক পুলিশ অফিসার এসেছিল। তারা জোর করে বাড়িতে ঢুকে তিনতলায় উঠে যায়। তার কিছুসময় পরেই ভারী কিছু উপর থেকে নীচে পড়ার আওয়াজ। ছুটে গিয়ে দেখা যায়, আনিস পড়ে আছে। অভিযোগ উঠছে, যারা সেই সময় বাড়িতে এসেছিল, তারাই ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে।