Anis Khan Murder: ‘স্বতঃপ্রণোদিত মামলা নিক আদালত’, আনিস রহস্যমৃত্যুতে এবার হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ
Anis Khan Murder: রবিবার রাতে আনিস খানের বাড়িতে এসেছিল একটি প্রতিনিধি দল। সেই প্রতিনিধি দলের এক সদস্য আনিসের বাবাকে জানিয়েছিলেন, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়েছেন।
হাওড়া: আনিস হত্যাকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। আমতার ছাত্র নেতা রহস্যমৃত্যুতে এবার হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ। রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ কী? স্বতঃপ্রণোদিত মামলা নিক আদালত। এই দাবিতে বিচারপতির এজলাসে আবেদন কৌস্তভ বাগচির। আনিস মৃত্যু রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। আনিসের পরিবারের লোকজন দাবি করেন, আমতা থানার একজন পুলিশ আধিকারিক এবং তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার এই ঘটনায় যুক্ত। এদিকে, হাওড়ার গ্রামীণ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় পুলিশের কেউ জড়িত নন। তাহলে প্রশ্ন, পুলিশের বেশে কি তবে অন্য কেউ এসেছিল? এক ছাত্রনেতার মৃত্য়ু হয়েছে, এই বিষয়টি হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি। সোমবারই বেলা ২টোর সময়ে মামলার শুনানি।
সোমবার সকালেই হাওড়ার আমতায় নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা। ছাত্রনেতার বাড়িতে যান ডিএসপি সুব্রত ভৌমিক। ছাত্রনেতা আনিসের বাড়িতে ডিএসপি-র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল যায়।
ডিএসপি এদিন আনিসের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন, সিভিক ভলেন্টিয়ারের বেশে আদৌ কারা এসেছিল, তা খুঁজে বার করা হবে দ্রুত। তবে আনিসের পরিবার এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড়। ওই চার জন কারা ছিল, তাদের নাম সামনে আনার দাবি তুলেছে পরিবার। আনিসের বাবা বলেন, “আমরা পুলিশের সঙ্গে রয়েছি। পুলিশকে সাহায্যও করব। কিন্তু আমরা এখনও চাই সিবিআই তদন্ত হোক। আমরা পুলিশকে হেয় করছি না, তবে সঠিক তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন।”
আনিসের দাদা বলেন, “আজ চার দিন হয়ে গেল, এখনও কেউ গ্রেফতারই হল না। কারা এসেছিল, কেন খুন করল, কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ আদৌ কিছু করতে পারবে কি?”
রবিবার রাতে আনিস খানের বাড়িতে এসেছিল একটি প্রতিনিধি দল। সেই প্রতিনিধি দলের এক সদস্য আনিসের বাবাকে জানিয়েছিলেন, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়েছেন। আনিসের পরিবারকে মুখ্য়মন্ত্রী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানান। আনিসের দাদা কিংবা পরিবারের কোনও এক সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাতেই আনিসের বাবা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সেই চাকরির কথা মাথায় রাখছেন। কিন্তু আগে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার সকাল থেকেই দেখা যায়, আনিসের বাড়ির সামনে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। প্রতিনিধি দলের সামনেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন আনিসের বোন। আনিসের বোন জানান, বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই নানারকম হুমকির শিকার হচ্ছিলেন আনিস। পুলিশি নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি। এই নিয়ে একাধিকবার পুলিশের কাছে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেভাবে পুলিশের তরফ থেকে বিষয়টিতে কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। রবিবার রাত একটার পর থেকে সশস্ত্র পুলিশ আনিসের বাড়ির সামনে মোতায়েন রয়েছে।
রবিবার দফায় দফায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে। সকাল সকাল পুলিশ আনিস খানের বাড়ি গেলে, তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে আনিসের পাড়া-প্রতিবেশী থেকে আত্মীয় বন্ধুরা। কেন এত দেরিতে এল পুলিশ, কেন দেরিতে শুরু হল তদন্ত? পুলিশকে ঘিরে ধরে সেই প্রশ্ন তুললেন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু সোমবার অনেকটাই অন্যরকম পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: AMTA Student Death: ‘আগে বিচার, চাকরি আমার মাথায় রইল’, ‘দিদির’ প্রস্তাবে সাফ জবাব আনিসের বাবার