Belgachia: ৩ দিনের ডেডলাইন! নবান্ন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি বেলগাছিয়ার ঘরহারাদের
Belgachia: অব্যহত হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড়ে। আর আরও গহীন হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক। ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভাগাড়ের ঠিক পিছনে ঝিলের ধারের ১৫ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি। একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। কংক্রিটের রাস্তা ভেঙে ১০ ফুট উঁচুতে উঠে গিয়েছে।

বেলগাছিয়া: জলসঙ্কট ছিলই। কিন্তু গত তিন-চার দিন ধরে অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছেন তাঁরা। এবার পুনর্বাসনের দাবিতে সুর চড়াচ্ছেন বেলগাছিয়ার ঘরহারা এলাকাবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুরমন্ত্রী পরিদর্শনের পর ৩ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। অর্থাৎ ডেডলাইন ৩ দিন! সমস্যা সমাধান না হলে নবান্ন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
অব্যহত হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড়ে। আর আরও গহীন হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক। ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভাগাড়ের ঠিক পিছনে ঝিলের ধারের ১৫ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি। একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। কংক্রিটের রাস্তা ভেঙে ১০ ফুট উঁচুতে উঠে গিয়েছে। কয়েক বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঝাঁঝালো মিথেন গ্যাসের গন্ধ। চার দিন পেরিয়ে কার্যত একই অবস্থা। সোমবার সকালে এলাকা পরিদর্শনে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সকালেই প্রশাসনের লোকরা এসে তাঁদের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। তাই তাঁরা আশঙ্কা করছেন, হয়তো ওই এলাকা থেকে তুলে দেওয়া হতে পারে। সে কারণে অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছেন তাঁরা। কিন্তু মেয়র তিন দিনের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়ায় কিছুটা হলেও আশ্বস্ত তাঁরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের বললেন, তিন দিন সময় দিতে। আমরা দিলাম।” আরেক মহিলা বললেন, “তিন দিনের মধ্যে কিছু না হলে, তারপর আমরা দেখিয়ে দেব। রাস্তায় বসে পড়ূব। আমরা নবান্না ঘেরাও করব। আমাদের থাকার ব্যবস্থা করুক।”
সেখানকারই এক বাসিন্দা বললেন, “আমরা তো পৌরসভার লোক, আমরা নোংরা ঘাঁটি সারাদিন। হাওড়া, উত্তর কলকাতা সব পরিষ্কার করি। কিন্তু এসময়ে আমাদেরই দেখবে না।”
মেয়র ফিরহাদ হাকিম অবশ্য বলেন, “তিন চার দিন সময় লাগবে। আমরা বিকল্প কোথাও একটা ব্যবস্থা করছি। পৌরসভা চিরকালই ঘর করে দিচ্ছে। এই টাকা তো কেন্দ্র দিচ্ছে না। নিজেদের ফান্ড দিয়েই করছে। ওদেরও ঘর করে দেব। কিন্তু ওখানকার মাটিটাই ভারসাম্য ধরে রাখতে পারছে না। তাই অন্য কিছু একটা চিন্তা করতে হবে। আজ অফিসে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, খোলা জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে।”





