বেলুড়: বেসরকারি একটি প্যাথলজি ল্যাবে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন এক মহিলা। পরীক্ষার আগে গিয়েছিলেন বাথরুমে। সেখানেই গোলমাল! বাথরুমে (Bathroom) আচমকাই তিনি দেখতে পান ঝাঁটার আড়াল থেকে উঁকি মারছে কী একটা!
কাছে যেতেই দেখা যায়, একটি মোবাইল ফোনের (Mobile Phone) ভিডিয়ো রেকর্ডিং অন করা অবস্থায় রয়েছে। দেখেই রীতিমতো আঁতকে ওঠেন তিনি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বালি থানার বেলুড় স্টেশন রোডের। বেসরকারি প্যাথলজি ল্য়াবের ঘটনা।
ভু্ক্তভোগী সেই মহিলার কথায়, “আমার ইসিজি পরীক্ষা করানোর ছিল। আমি তার আগে একবার বাথরুমে যাই। তখন যে নিরাপত্তা রক্ষী দায়িত্বে ছিলেন তিনি আমায় বলেন, ‘আপনি একটু দাঁড়ান, জলের ব্য়বস্থা করে দিই’। তারপরেই, আমি বাথরুমে ঢুকি। সেখানে ঢুকে দেখতে পাই, ঝাঁটার আড়াল থেকে কী একটা দেখা যাচ্ছে। কাছে গিয়ে দেখি একটা মোবাইল ফোন। সেই মোবাইল ফোনে ভিডিয়ো রেকর্ডিং অন করা। সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে এসে ওই রক্ষীকে ডেকে পাঠাই। প্যাথলজি ল্যাবে জানাই। কিন্তু, এখন সংস্থা কোনও দায় নিতে ইচ্ছুক নয়। এতদিন ধরে মহিলারা বিশ্বাস করে বাথরুমে ঢুকছেন আর এভাবে ভিডিয়ো হয়ে চলেছে।”
অভিযোগকারিণীর স্বামী রাহুল দে বলেন, “আমার স্ত্রী বাথরুমে গিয়েছিলেন। আমি বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। সেইসময় আমার স্ত্রী বাইরে এসে আমায় আচমকা ডেকে বলেন বাথরুমে কী যেন রয়েছে। আমি প্রথমে ভেবেছি পোকা। কাছে যেতেই দেখি একটা উল্টানো মোবাইল ফোন। ফোনে ক্যামেরা অন করে রাখা। তারপর দেখি ক্যামেরার ভিডিয়ো রেকর্ড অন করা। সেখানে কেবল আমার বউয়ের ছবি উঠেছে এমন নয়, আরও অনেক এমন ভিডিয়ো উঠেছে। এভাবে মা-বোনেদের সম্মান নিয়ে খেলার মানে কী! ”
যদিও, এই ঘটনায় প্যাথলজি ল্যাবের কর্তৃপক্ষ কোনও দায় নিতে চাননি। পাশাপাশি, আতঙ্ক ছড়িয়েছে ল্যাবে আসা অন্য রোগীদের মধ্য়েও। ঘটনায়, অভিযুক্ত রক্ষী মহম্মদ ইমতিয়াজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সেই মোবাইলে এমন একাধিক ভিডিয়ো উদ্ধার হয়েছে। কেন দিনের পর দিন এভাবে ভিডিয়ো করা? জেরায় ধৃত নিরাপত্তা রক্ষী জানিয়েছেন, তাঁর ভাল লাগত বলেই তিনি এমন কাজ করতেন। ধৃতের বয়ানে রীতিমতো হতবাক পুলিশ অধিকর্তারাও।
প্রশ্ন উঠছে ল্যাব কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও। দিনের পর দিন কী করে এইভাবে বাথরুমে ফোন ক্যামেরা লুকিয়ে তাতে ভিডিয়ো তোলার কাজ করছিলেন ওই নিরাপত্তা রক্ষী, অথচ জানতেও পারেনি কর্তৃপক্ষ? যদিও, বেসরকারি ওই ল্যাব কর্তৃপক্ষ এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন: ‘কল মি ফর সেক্সি গার্ল’ সেমেস্টারের ফর্ম ফিলাপ করতে গিয়ে চোখ কপালে ছাত্রীদের!
আরও পড়ুন: ‘সকলের ভালর জন্য’ মন্ত্রীর সই জাল, ৪০০ টাকা দিলেই হাতে-হাতে ভুয়ো আধারকার্ড!