Fire Accident in Sankrail: এখনও রয়েছে অসংখ্য পকেট ফায়ার, আগুন নেভাতে নতুন করে দেওয়াল ভাঙছেন দমকলকর্মীরা

Howrah: স্থানীয় ও দমকল সূত্রে খবর, যখন আগুন লাগে তখন কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ করছিলেন। তবে সকলকেই কারখানা থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে

Fire Accident in Sankrail: এখনও রয়েছে অসংখ্য পকেট ফায়ার, আগুন নেভাতে নতুন করে দেওয়াল ভাঙছেন দমকলকর্মীরা
আগুনে পুড়ে ছাই শেওড়াফুলির ছয়টি কারখানা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2021 | 9:22 PM

হাওড়া: এখনও রয়েছে অসংখ্য  পকেট ফায়ার। আগুন নেভাতে সাঁকরাইলের কারখানায় নতুন করে ভাঙা হচ্ছে দেওয়াল। এখনও কাজ করছে ১৭ টি ইঞ্জিন। দেওয়াল ভেঙে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। তবে আগুন থেকে বিপদের সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন দমকল কর্মীরা।

কমিশনিং ছাড়াই ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে সাঁকরাইলের চিপস কারখানায় চলছিল চিপস তৈরির কাজ। কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা উপযুক্ত ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে একধাক্কায় বাড়ানো হয়েছে ইঞ্জিনের সংখ্যা। এই মুহূর্তে মোট  ১৭ টি ইঞ্জিন অগ্নিনির্বাপণের  কাজ করছে। কেন আগুন (Fire Accident) লাগল, কীভাবে তা ছড়াল সবটাই ফরেন্সিক তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন দমকল অধিকর্তা অভিজিত্‍ পাণ্ডে।

দমকল অধিকর্তা এদিন বলেন, “এই বিল্ডিংটির  কমিশনিং করানো হয়নি। তার আগেই এখানে কাজ চলছিল। সেই অনুমতি কীভাবে পাওয়া গেল, কে দিলেন সেসব খতিয়ে দেখা হবে। অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা যথাযথ ছিল  কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। ফরেন্সিক তদন্ত করা হবে। আমরা আলাদা একটি কমিটি করে তদন্ত করব।”

সামনেই নয়ানজুলির খাল। সেই খালে জমা জল দিয়েই চলছে আগুন নেভানোর কাজ। কিন্তু সেই জল শেষ হলে কীভাবে নেভানো হবে আগুন? চিন্তায় দমকলকর্মীরা। প্রায় ৫ ঘণ্টার ম্যারাথন চেষ্টার পরে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও নিভে যায়নি। আরও বাড়ানো হযেছে ইঞ্জিনের সংখ্যা। পেট্রোলিং চালাতে কারখানার গার্ডওয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকছেন দমকলকর্মীরা।

বুধবার দুপুর পৌনে একটা নাগাদ রাস্তার ধারের ওই কারখানা থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয়  দমকলে। আগুন নিয়ন্ত্রণে দ্রুত  দমকলের  ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। পরে আরও ২টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। ধীরে ধীরে আরও বাড়ানো হয় ইঞ্জিনের সংখ্যা। দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উঁচু গার্ডওয়াল থাকার জন্য কারখানায় ঢুকতে সমস্যা। ফলে, বাইরে থেকেই জল ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে।

দমকলের অন্য  একটি টিম গার্ডওয়াল ভেঙে ভেতরে গিয়ে ফায়ার পকেটগুলি নেভানোর চেষ্টা চলছে। দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু মজুদ থাকায় কারখানার ভেতরে এবং গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি এসি মেশিন সারাতে গিয়েই শর্ট সার্কিট থেকে এই বিপত্তি।

স্থানীয় ও দমকল সূত্রে খবর, যখন আগুন লাগে তখন কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ করছিলেন। তবে সকলকেই কারখানা থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হতাহত বা আহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ওই চিপস কারখানায় প্লাস্টিক বা অন্যান্য় দাহ্য পদার্থও মজুত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা দমকলের। পাশাপাশি, জোরালো বাতাসের জন্য আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কারখানায় আগুন লাগার ফলে ওই কারখানা সংলগ্ন একটি কমপ্লেক্সের একপাশের দেওয়াল পুরোপুরি ধসে পড়েছে। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে কিছু অংশ। তবে, ওই কারখানার পাশে অন্যান্য যে কারখানাগুলি রয়েছে সেগুলোতে আগুন ছড়াতে পারেনি। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, জোরালো হাওয়ার জন্য ধোঁয়াও বাড়ছে। কারখানায় একাধিক ছোট ছোট ফায়ার পকেট হয়ে রয়েছে। ফলে আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে।

যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় চলছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ। যেহেতু, জাতীয় সড়কের ধারেই এই কারখানা, তাই  যানবাহনের গতিও শ্লথ। আগুন নেভাতেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে এলাকা। যদিও, আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলেও নিভে যায়নি। এখনও রয়েছে অসংখ্য ফায়ার পকেট। আগুন যাতে নিয়ন্ত্রণে আসে তার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।

আরও পড়ুন: Adhir Chaudhury: ‘পিকে মোদীর এজেন্ট, বিজেপির পক্ষে কাজ করছেন…’