Kalyan Banerjee: ‘ঘর ওয়াপসি’ হওয়া নেতাদের সঙ্গে ইঁদুরের তুলনা কল্যাণের! কাকে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 03, 2022 | 12:25 AM

Kalyan Banerjee: প্রথম থেকেই এই দলত্যাগীদের দলে ফেরানো নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Kalyan Banerjee: ঘর ওয়াপসি হওয়া নেতাদের সঙ্গে ইঁদুরের তুলনা কল্যাণের! কাকে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ?
ফের সরব কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

Follow Us

হুগলি: ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া নেতাদের আরও একবার বাক্যবাণে বিঁধলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আগে দল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া এবং একুশের নির্বাচনে বিজেপির প্রত্যাশামতো ফল না হওয়ায় ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়েছে যে সমস্ত নেতাদের এবার নাম না করে তাঁদের ইঁদুরের সঙ্গে তুলনা করলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান এই সাংসদ।

প্রয়াত তৃণমূল নেতা আকবর আলি খন্দকারের জন্মতিথি উপলক্ষে রবিবার শেওড়াফুলিতে এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ভোটের আগে দল ছেড়ে যাওয়া এবং ভোট মিটতেই ফের তৃণমূলে ফেরার জন্য ব্যস্ত হওয়া নেতাদের নাম না করেই কল্যাণ বলেন, “সেদিন বিজেপির নেতাদের বলেছিলাম যাঁদের নিয়ে যাচ্ছেন বাঘ ভেবে, বিড়ালগুলোকে বাঘ ভেবে নিয়ে যাচ্ছেন তো, দেখবেন নির্বাচনের পরে সেগুলো ইঁদুর হয়ে গিয়েছে। গর্ত খুঁজছে কোথা দিয়ে ঢুকব, কোন গর্তে গিয়ে ঢুকব। এখন দেখুন সেই সবগুলো যেগুলো চলে গিয়েছিল ফিরে এসে গর্ত খুঁজছে। আর বলছে একটু জায়গা দাও গো মা তোমার মন্দিরে বসি। একটু জায়গা দাও…।”

প্রথম থেকেই এই দলত্যাগীদের দলে ফেরানো নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জেলার নেতা ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে ফেরানো নিয়ে প্রকাশ্যে সরবও হন তিনি। ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন। সেই ঘরে ফেরা নিয়ে কটাক্ষ করে কল্যাণ বলেছিলেন, “দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমায় মেনে নিতে হবে। একদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দলের কোনও সাধারণ কর্মীকে দুঃখ দিয়ে কোনও বিশ্বাসঘাতককে দলে ফেরানো হবে না। সেখানে, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ‘টপ টু বটম’ কোরাপ্ট নেতাকে দলে যোগদান করানো হল। নির্বাচনের সময় ডোমজুড়ে সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন রাজীবের কলকাতায় তিনটে বাড়ি আছে। ওর টাকা দুবাই এ খাটানো হয়। তারপরেও কেন এমন নেতাকে দলে ফেরানো হল, জানা নেই। আজ আমার সুনীল গাঙ্গুলির কবিতা ছিল ‘কেউ কথা রাখেনি’ সেটা মনে পড়ছে। আমি তো দলের সাধারণ কর্মী। যা সিদ্ধান্ত দল নিয়েছে তা মেনে নিতে হবে।”

একই সঙ্গে কল্যাণের কটাক্ষ ছিল, “রাজীব যদি দলে ফেরেন তবে আমাদের তো কিছু বলার নেই। কারণ, শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য উচ্চ নেতৃত্ব। আমাদের কী! আমাদের যা বলা হবে আমরা তাই করব। তবে এই কথাটা ঠিক অনেক কষ্ট করে আমরা ভোটে জিতেছি। রাজীবের ভ্যালু যে জিরো, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইজ আ জিরো তা আমরা প্রমাণ করে দেখিয়েছি। ওকে আমরা ডোমজুড়ে ৪৩ হাজার ভোটে হারিয়েছি। আমরা সাধারণ কর্মী।”

কোন্নগরে বইমেলার অনুষ্ঠানে বেশ কিছুদিন আগেই প্রবীর ঘোষালকে দেখা গিয়েছিল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে একই মঞ্চে। অন্য এক অনুষ্ঠানে উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গেও দেখা যায় রাজীবের সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রবীর ঘোষালকে। সম্প্রতি তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগোবাংলা’-য় একাধিক কলামও লিখেছেন প্রবীর।

এই প্রবীর ঘোষালকেও নিশানা করেছিলেন কল্যাণ। নাম না করে বলেছিলেন, “আমি স্পষ্ট কথা বলি। কোনও নাটক করি না। আমি বেইমানদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করতে পারব না। আমি নাটক করি না। কার ভাল লাগল, কার ভাল লাগল না, তাতে কিছু যায় আসে না। রাজনীতি একটা সিরিয়াস জায়গা।”

আরও পড়ুন: Covid surge: ‘বারবার লোকাল ট্রেনের কান মলা আসলে সরকারের মুদ্রাদোষ!’, রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকার

Next Article