Covid surge: ‘বারবার লোকাল ট্রেনের কান মলা আসলে সরকারের মুদ্রাদোষ!’, রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকার
Covid Spike: হু হু করে রাজ্যে চড়ছে করোনার গ্রাফ। দৈনিক সংক্রমণ ৬ হাজার পার করে গিয়েছে রবিবার।
কলকাতা: যে হারে রাজ্যে করোনা বাড়ছে তাতে সোমবার থেকে বহাল হতে চলা বিধিনিষেধ কতটা বিপদ আটকাতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে খোদ চিকিৎসক মহল। চিকিৎসক কুণাল সরকার রবিবার স্পষ্ট বলেন, ‘এই গোটা ঘোষণাটিই অন্তঃসারশূন্য।’ কেন এতদিন রাশ আলগা করল সরকার, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
হু হু করে রাজ্যে চড়ছে করোনার গ্রাফ। দৈনিক সংক্রমণ ৬ হাজার পার করে গিয়েছে রবিবার। কলকাতা পুরভোটের পর বড়দিনে লক্ষ লক্ষ মানুষের পার্কস্ট্রিটে জমায়েত, ইকোপার্ক-চিড়িয়াখানায় প্রমোদ ভ্রমণই বুঝিয়ে দিয়েছিল বিপদ আসছে! অবশেষে বিপদ এসেই গেল। রবিবার রাজ্য সরকারের তরফে বেশ কিছু বিধি নিষেধের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে, কেন এই বিপদকে প্রশ্রয় দিল রাজ্য সরকার? দেশের অন্যান্য রাজ্য যখন এক সপ্তাহ আগে থেকেই রাশ কঠোর করেছে, কেন এ রাজ্যে তা আলগা করল প্রশাসন?
এদিন কুণাল সরকার বলেন, “এইরকম সিদ্ধান্ত আসলে প্রশাসনিক মুদ্রাদোষ। গত দিন দশেক ধরে অ্যানাস্থেসিয়ার মধ্যে ছিল সরকার। এখন এই ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলা এসব আলঙ্কারিক কথা। ৫০ শতাংশ নিয়ে চললে বুঝি তার জনস্বাস্থ্যের উপর কোনও প্রভাব নেই? আজ কলকাতায় অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহরের তুলনায় ৫ গুণ বেশি পজিটিভিটি রেট। এটা রাতারাতি হয়নি। গত দু’সপ্তাহের ফল।”
রবিবার নবান্নের তরফে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে তার মধ্যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ট্রেন চলাচলে রাশ টানা। সোমবার থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলাচল করবে। আর ট্রেন চালানো হবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে। একই সঙ্গে সোমবার ৩ জানুয়ারি থেকে ফের বন্ধ হচ্ছে স্কুল-কলেজের দরজা।
সুইমিং পুল, স্পা, জিম, বিউটি পার্লার বন্ধ থাকবে ৩ জানুয়ারি থেকে। ট্যুরিস্ট স্পট বন্ধ থাকছে ফের। তবে শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্স খোলা থাকবে ৫০ শতাংশ মানুষ নিয়ে। রাত দশটার পর বন্ধ থাকবে শপিং মল, সিনেমা হল। দোকানে বাজারে বেরলে মুখে মাস্ক থাকতেই হবে। না হলে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট বাজার কর্তৃপক্ষেরও। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ জারি হবে রাত ১০টা থেকে, চলবে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত।
কুণাল সরকারের বক্তব্য, “আমি অবাক হলাম আজকের কথায়। মুখ্যসচিবের বক্তব্যে তো শুনলাম না কী করে আমি তিন গুণ আরটিপিসিআর বাড়াব? আমি শুনলাম না কী করে আমি পাঁচ-সাত গুণ জিনোমিক সিকোয়েন্সিং বাড়াব, কীভাবে জিনোমিক ডাটা তুলে ধরব। আমি শুনলাম না কী করে স্কুল কলেজ বন্ধ করে আমি ছোটদের টিকাকরণ চালাব। অথচ এগুলোর উপরই অতিমারির সময় একজনের স্বাস্থ্যের অবস্থা নির্ভর করবে। আমাদের এই আলঙ্কারিক ৪৯ শতাংশ, ৫০ শতাংশ শুনে কী হবে। বারংবার লোকাল ট্রেনের কানমলা আসলে সরকারের মুদ্রাদোষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বরং এই গোটা ঘোষণাটিই অন্তঃসারশূন্য। তবু ভাল সরকারের নজরে পড়েছে অতিমারি অবস্থা চলছে।”
আরও পড়ুন: Covid Update: ভয়ঙ্কর চেহারা! গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমণ ৬ হাজার পার, কলকাতাতেই ৩ হাজারের উপরে
আরও পড়ুন: Covid Spike: এবার করোনার থাবা চিত্তরঞ্জন শিশু সেবা সদনে! ৩৬ জন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড পজিটিভ