AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কমিশনারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি, হাওড়ায় পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপি কর্মীদের

"একুশের পর এই পুলিস থাকবে না। বদল আসবেই। আমরা শুধু বলতে চেয়েছিলাম আসল অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক। ওঁ আমাদের সঙ্গে দেখাই করলেন না।"

কমিশনারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি, হাওড়ায় পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপি কর্মীদের
বিজেপি কর্মীদের রুখতে পুলিসের ব্যারিকেড
| Updated on: Jan 28, 2021 | 4:37 PM
Share

হাওড়া: বিজেপির হাওড়া সিটি পুলিস কমিশনার অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হাওড়ায় (Howrah)। ব্যারিকেড দিয়ে বিজেপি কর্মীদের রোখার চেষ্টা প্রশাসনের। পুলিস কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপি কর্মীদের। শেষমেশ পুলিস কমিশনারের সঙ্গে দেখাও করতে পারলেন না বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, স্মারকলিপি হাতে নিয়েই ফিরতে হল তাঁদের।

গত শনিবার বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা ও মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে হাওড়া সিটি পুলিস কমিশনার দফতর ঘেরাও কর্মসূচি নেয় বিজেপি। পুলিস অনেক আগে থেকেই ব্যারিকেড দিয়ে রাখে রাস্তায়। বিজেপি কর্মীদের মিছিল পৌঁছতেই পুলিস রুখে দাঁড়ায়। মহিলা বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়।

প্রসঙ্গত, বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে গত শনিবার রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বালি। জিটি রোডের ওপর চলে ব্যাপক সংঘর্ষ। বোমা-গুলির লড়াই, বেপরোয়া ভাঙচুরের পর বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হন এক বিজেপি কর্মী।

ঘটনার সূত্রপাত হয় গত তার আগের রাতেই। বিজেপির একটি অনুষ্ঠানে দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়। পুলিসের হস্তক্ষেপে তা মিটেও যায়। শনিবার সকাল থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। লিলুয়া মাতোয়ালা চৌরাস্তাতে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেসময় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক তাঁর দলবল নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: আলোচনার খুলবে পথ, বাম কংগ্রেস জোট সমঝোতা এগল আরও এক ধাপ

অভিযোগ, বেশ কয়েকটি বোমা পড়ে এলাকায়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গোটা পঁচিশেক বাইকেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সম্পাদক কৈলাস মিশ্রই এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির নেতৃত্বের। প্রতিবাদ জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ, তৃণমূল সেখানেও হামলা চালায়। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিজেপির অভিযোগ, পুলিসের উপস্থিতিতেই তাঁদের দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে শাসকদল। পুলিস কর্মীদের সঙ্গেও একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মীদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় নামানো হয় র্যাফ।

এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, “একুশের পর এই পুলিস থাকবে না। বদল আসবেই। আমরা শুধু বলতে চেয়েছিলাম আসল অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক। ওঁ আমাদের সঙ্গে দেখাই করলেন না।”