AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আলোচনার খুলবে পথ, বাম-কংগ্রেস জোট সমঝোতা এগল আরও এক ধাপ

'একুশে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই নয়। লড়াই হবে একের বিরুদ্ধে এক।'

আলোচনার খুলবে পথ, বাম-কংগ্রেস জোট সমঝোতা এগল আরও এক ধাপ
নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jan 28, 2021 | 4:31 PM
Share

কলকাতা: লক্ষ্য একুশের ভোট। বাম কংগ্রেসের আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা আরও এক ধাপ এগল। বৃহস্পতিবার বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরীদের বৈঠকে রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে আরও ১১৬টি আসনের রফা হল। এদিন সিদ্ধান্ত হয় বামেরা ৬৮টি, কংগ্রেস ৪৮টি আসনে লড়বে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার প্রথম দফার বৈঠকেই ৭৭টি আসনের রফা হয়ে গিয়েছিল। এই ৭৭টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসকে ৪৪টি আসন ছেড়ে দিতে রাজি হন বামেরা। বাকি আসনগুলিতে লড়বেন তাঁরা। দু’দিনের বৈঠকের পর বাম কংগ্রেস জোটের আপাতত নির্যাস ১০১টি আসনে লড়বে বাম আর কংগ্রেস লড়বে ৯২ টি আসনে। আরও ১০১টা আসনের ফয়সলা এখনও বাকি রয়েছে।

বৈঠকে পর হয় সাংবাদিক বৈঠক। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “বাম-কংগ্রেস বা কংগ্রেস বাম তৃতীয় শক্তি হিসেবে লড়াই করবে। একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে এগিয়ে যাব। মাত্র দুদিনেই অনেকটা এগিয়েছি। আলোচনার মাধ্যমে বাকিটা হবে।” তিনি আরও বলেন, “একই বৃন্তে দুটি ফুল পদ্ম ও ঘাসফুল। দুটি বিষাক্ত ফুল, তাঁদের সরাতে হবে।”

তবে আসন রফা নিয়ে বাম কংগ্রেসের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, একুশে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই নয়। লড়াই হবে একের বিরুদ্ধে এক।

উল্লেখ্য, আসন রফা নিয়ে গত সোমবারও বৈঠকে বসে বাম-কংগ্রেস। সেদিনের বৈঠকে ৭৭ টি আসন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মূলত ২০১৬ সালে ওই ৭৭টি আসনে জিতেছিল তারা। বাকি আসনগুলিতেও ভাগ বাঁটোয়ারা অত্যন্ত ভেবেচিন্তেই করতে চায় জোট। সেক্ষেত্রে ২০১৬ ও ২০১৯এর নির্বাচনে কোন এলাকায় কোন দল ভাল ফল করেছে, তা রীতিমতো পর্যালোচনার পর করা হচ্ছে আসন রফা। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নির্বাচনে ৯২টি আসনে লড়েছিল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন: বাম-কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে ‘আপত্তিকর শব্দ’, তুমুল হইচই বিধানসভায়

উল্লেখ্য, ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির গঠিত দল ‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট’-এর সঙ্গে জোটের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। তবে অধীর চৌধুরী এদিন সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট করে দেন, আব্বাস সিদ্দিকির তরফে কোনও প্রস্তাব আসেনি এখনও।