হাওড়া: হাওড়ায় গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন। ধূলাগড় জালান কমপ্লেক্সের দু’টি গোডাউনে ভয়াবহ আগুন লাগে সোমবার দুপুরে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। এদিন দুপুর ৩টে ৪৫ মিনিট নাগাদ এই আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে। এটি মূলত কাপড়ের একটি কারখানা। পাশেই দু’টি গোডাউনও রয়েছে। সেই গোডাউনেই সোমবার আগুন লাগে। সূত্রের খবর, কারখানায় শেডের কাজ চলছিল। শর্টসার্কিটের জেরে এই আগুন লেগে যায় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু আগুন লাগার সময় কারখানার ভিতরে কোনও শ্রমিক ছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে দমকলের একের পর এক ইঞ্জিন ইতিমধ্যেই ঢুকছে। এখনও অবধি মোট সাতটি ইঞ্জিন এসেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্তরকম চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। যেহেতু কারখানায় প্রচুর দাহ্য বস্তু রয়েছে, তাই মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়। গোডাউনের ভিতর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকমতো ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে দমকলের পক্ষ থেকে।
দুপুর ৩টে ৪৫ নাগাদ ছ’ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ধূলাগড় জঙ্গলপুরে জালান কমপ্লেক্সে তিন নম্বর গেটে গোডাউনটিতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। প্রথমে একটি দমকলের ইঞ্জিন এলেও পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ নয় তা বুঝে একের পর এক দমকলের ইঞ্জিন ঢুকতে শুরু করে এলাকায়। শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লেগে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন দমকল কর্মীরা।
এদিকে যেখানে আগুন লেগেছে তার আশেপাশে কোনও পুকুর বা জলাশয় নেই। ফলে জলের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে দমকলকে। একইসঙ্গে হাওয়ার দাপট থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আগুনের যা ভয়াবহতা তাতে ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Saayoni Ghosh: হিন্দি গানের কলি গেয়েই প্রচারে মাত, সায়নি বললেন ‘মমতা ঝুঁকেগা নেহি…’