Howrah: শুক্রে বাধা পেয়ে ফিরে গিয়েছিল, শনিতে সেই বেআইনি নির্মাণ ভাঙল পুরসভা

Howrah: এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বেআইনি অংশ ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজন হলে ভাঙার কাজ পুরোপুরি শেষ করতে আরও দু'একদিন সময় নেওয়া হবে।

Howrah: শুক্রে বাধা পেয়ে ফিরে গিয়েছিল, শনিতে সেই বেআইনি নির্মাণ ভাঙল পুরসভা
বেআইনি নির্মাণ ভাঙল পুরসভাImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 25, 2023 | 6:59 PM

হাওড়া: শুক্রবার কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন বালি পুরসভার কর্মীরা। তবে শনিবার এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওই চারতলা আবাসনের বেআইনি অংশ ভাঙার কাজ শুরু হলে। আজ সকালবেলা বালি পুরসভার কর্মীরা লিলুয়া থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করেন।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বেআইনি অংশ ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজন হলে ভাঙার কাজ পুরোপুরি শেষ করতে আরও দু’একদিন সময় নেওয়া হবে।

তবে, এই বাড়ি ভাঙতে গিয়ে দেখা গিয়েছে আরও এক বিপত্তি। অভিযোগ, আবাসনের বেআইনি অংশ ভাঙার সময় পাশের একটি একশো বছরের পুরোনো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা। প্রিয়াঙ্কা ঘোষ বলেন, “বালি পুরসভা কোনও রকম সুরক্ষা ছাড়াই পাশের আবাসনের বেআইনি অংশ ভেঙেছে। যার ফলে আমাদের পুরোনো বাড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঙর খসে পড়ছে।” তিনি আরও যোগ করে বলেন, “ভাঙার সময় পুরো তিনতলা বাড়ি কাঁপছিল। আমরা আতঙ্কিত। মনে হচ্ছে যে কোনও সময় বাড়িটা ভেঙে পড়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের এই বাড়িতে ৭টি পরিবার থাকেন। ৫জন শিশু -সহ ২৪ জন সদস্য রয়েছেন। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।”

ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অসিতবরণ ঘোষ বলেন, “পাশের পুরোনো বাড়িটি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশাসনের তরফে আবাসনের বেআইনি অংশ ভাঙা হচ্ছে। বাসিন্দাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।”

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালতের সেই নির্দেশ মেনে লিলুয়ার রবীন্দ্র সরণীর একটি আবাসনের বেআইনি অংশ ভাঙতে গিয়েছিল বালি পুরসভা। তবে পুলিশ প্রশাসনের কাছে আদালতের লিখিত নির্দেশিকা না থাকায় ওই আবাসনের বাসিন্দারা ভাঙতে দেননি।