Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Howrah: চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল আস্ত বাড়ি, ঘরের ভিতরেও লম্বা ফাটল! বাসিন্দাদের ঘুম উড়েছে হাওড়ায়

Howrah: পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলী চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পাইপ লাইন মেরামতির কাজ চলছে। তবে কাজ কত সময়ে শেষ হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। জল সঙ্কট মেটাতে ওই সমস্ত এলাকায় দেওয়া হচ্ছে পানীয় জলের গাড়ি।

Howrah: চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল আস্ত বাড়ি, ঘরের ভিতরেও লম্বা ফাটল! বাসিন্দাদের ঘুম উড়েছে হাওড়ায়
ভেঙে পড়ল আস্ত বাড়িImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2025 | 5:32 PM

হাওড়া: বৃহস্পতিবারই পাইপ ফেটে জল বেরতে দেখা যায় এলাকায়। জায়গায় জায়গায় জল দাঁড়িয়ে যায়। জলকষ্টে রীতিমতো জেরবার হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড় এলাকার বাসিন্দারা। সেখানেই এবার নতুন করে নামল ধস। নতুন করে ধস নামায় ফের বিপত্তি। এবার ধসের জেরে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল আস্ত বাড়ি। জলের পাইপলাইনের কাজ করতে গিয়েই এভাবে ধস নেমেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ধস নামার ফলে উত্তর হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রভাব পড়েছে শিবপুর বিধানসভার বেশ কিছু এলাকাতেও। হাওড়া পুরসভায় জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। পরে কলকাতা থেকে জলের গাড়ি পাঠানো হয় সেখানে। হুগলির উত্তরপাড়া পুরসভা থেকে জলের গাড়ি আনার পরিকল্পনাও রয়েছে।

এক জায়গায় নয়, ডাম্পিং গ্রাউন্ড সংলগ্ন এলাকায় জল সরবরাহের অবস্থায় খুব খারাপ। জমি ফেটে গিয়েছে। ঘরের ভিতরে, মেঝেতে বা দেওয়ালে দেখা যাচ্ছে লম্বা লম্বা ফাটল। তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষের বাস ওই এলাকায়। ফলে আতঙ্কে ঘুম উড়েছে তাঁদের। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গিয়েছে, ফলে ইলেকট্রিসিটি উধাও। বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসনের তরফ থেকে শুধুই আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।

পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলী চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পাইপ লাইন মেরামতির কাজ চলছে। তবে কাজ কত সময়ে শেষ হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। জল সঙ্কট মেটাতে ওই সমস্ত এলাকায় দেওয়া হচ্ছে পানীয় জলের গাড়ি।

না খেয়ে, না ঘুমিয়ে দিন কাটছে তাঁদের। ঘরের যা অবস্থা, তাতে যে কোনও সময় বাসিন্দাদের উপর ভেঙে পড়তে পারে ছাদ-দেওয়াল। পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা গিয়ে সব খতিয়ে দেখছেন। কবে পরিস্থিতির সুরাহা হবে, তা বোঝা কঠিন।