হাওড়া: শীতের পোশাক কিনবেন বলে বাড়ি থেকে আনন্দ করে বেরিয়েছিলেন একই পরিবারের দুই মহিলা। তাঁদের সঙ্গে ছিল এক শিশু। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁদের। বিগত দু’দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন তাঁরা। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বালির আনন্দনগরের লোকনাথ মন্দির এলাকার বাসিন্দা অনন্যা কর্মকার ও ছোট বউ রিয়া কর্মকার। তাঁদের সঙ্গে গিয়েছিলেন রিয়া কর্মকারের সাত বছরের ছেলে আয়ূস। তিন জনই শীতের পোশাক কিনবেন বলে শ্রীরামপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের সদস্যরা রীতিমত উদ্বেগে কাটাতে থাকেন। রাত পর্যন্ত তাঁদের খবর না পাওয়া গেলে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় নিশ্চিন্দা থানায়। এখনও অবধি উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে, দুই গৃহবধূর সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনও সুইচ অফ হয়ে গিয়েছে। পুলিশ তাঁদের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আজ নিখোঁজ দুই গৃহবধূর শাশুড়ি মীতা কর্মকার জানান,”আমার দুই বউমা নাতি আয়ুসের জুতো ও শীতের কিছু পোশাক কিনতে শ্রীরামপুর বাজারের উদ্দেশে রওনা দেয়। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন তাঁরা। কিন্তু আজ অবধি বাড়ি ফেরেননি। বাড়ির সব আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতেও ইতিমধ্যে খোঁজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কেউ কিছুই জানাতে পারল না।”
অন্যদিকে, রিয়া কর্মকারের স্বামী প্রভাত কর্মকার এদিন বলেন, “বুধবার দুপুর ২ টো নাগাদ তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে ফোনে শেষবার কথা হয়েছিল। তখন তাঁরা শ্রীরামপুরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। তার পরই ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়।”
গত ১৬ ডিসেম্বর নিশ্চিন্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি শ্রীরামপুর থানা ও জিআরপিতেও পরিবারের তরফে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, শেষবার শ্রীরামপুরেই তাঁদের মোবাইলের লোকেশন দেখা গিয়েছে। কীভাবে তিন জন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল তা বুঝে উঠতে পারছে না পুলিশ। তিন জনের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে নিশ্চিন্দা থানা।
আরও পড়ুন: Katwa Crime News: ধর্ষণ ও গর্ভপাত করানোর ক্ষোভেই কি গুলি চালিয়েছিল প্রেমিকা? মায়ের বক্তব্যে নয়া মোড়