Howrah: বাইকটা যেই একটু আস্তে করেছেন অমনি…, শহরের রাস্তায় শিউরে ওঠার মতো ঘটনা
Andul: ওই ব্যবসায়ীর দাবি, একটু দূরে বাইক নিয়ে আরও তিন দুষ্কৃতী দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ কালীমন্দিরে সামনে প্রথম দুজন দুষ্কৃতী ওই ব্যবসায়ীকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর তার কাছ থেকে ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে চম্পট দেয়।
আন্দুল: বিয়ে বাড়ির অর্ডার ছিল। সেই মতো রাত্রিবেলা ফিরছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। ব্যাস, তখনই বড় কাণ্ড। তক্কে-তক্কে ছিল দুষ্কৃতীরা। সোনার দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনতাই ১১ লক্ষ টাকা সোনার গহনা ও নগদ পনেরো হাজার টাকা।
আন্দুল জোরহাটে সোনার দোকানের মালিক প্রশান্ত মল্লিক। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতেও তিনি দোকান বন্ধ করার পর ব্যাগে করে বিয়ের অর্ডারের সোনার গয়না এবং নগদ পনেরো হাজার টাকা নিয়ে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি থেকে ঠিক দুশো মিটার দূরে আন্দুল রোড থেকে বাইকটি যখন সুভাষপল্লীর গলিতে ঢোকে। সেই সময় রাস্তায় বাম্পের জন্য বাইকের গতি কমান। সেই সুযোগে আগে থেকেই দুজন দুষ্কৃতী তাঁর বাইকের সামনে চলে আসে। পথ আটকে দেয়।
ওই ব্যবসায়ীর দাবি, একটু দূরে বাইক নিয়ে আরও তিন দুষ্কৃতী দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ কালীমন্দিরে সামনে প্রথম দুজন দুষ্কৃতী ওই ব্যবসায়ীকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর তার কাছ থেকে ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে চম্পট দেয়। যেহেতু ঘটনাস্থলে আলো কম ছিল তাই প্রশান্তবাবু দুষ্কৃতীদের ভালোভাবে চিনতে পারেননি। অধিকাংশ দুষ্কৃতী মাঙ্কি টুপি পরেছিল। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। পরে ওই ব্যবসায়ী জগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
শনিবার দুপুরে পুলিশের একটি তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলে আসে। ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন দোকান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তারা। এদিকে এই ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা জানিয়েছেন রাতের দিকে পুলিশের পেট্রোলিং হয় না। তারা চাইছেন নিরাপত্তা বাড়ানো হোক। ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জগাছা থানার পুলিশ। যদিও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।