Terror link in Howrah: হাওড়ার আমিরুদ্দিনের মোবাইলের ১২ জিবি জুড়ে জিহাদি বই, বিস্ফোরক তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে

Terror link in Howrah: দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে হাওড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিলেন ওই ব্যক্তি। এলাকাবাসী তাঁকে শিক্ষক হিসেবেই চিনতেন। বুধবার তাকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গল এসটিএফ।

Terror link in Howrah: হাওড়ার আমিরুদ্দিনের মোবাইলের ১২ জিবি জুড়ে জিহাদি বই, বিস্ফোরক তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে
এসটিএফ গ্রেফতার করেছে আনিরুদ্দিন আনসারীকে

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Mar 17, 2022 | 1:44 PM

হাওড়া : জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়ার পর আমিরুদ্দিন আনসারির মোবাইল থেকে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রচুর জিহাদি বই ডাউনলোড করা ছিল তাঁর ফোনে। অন্তত ১২ জিবি মেমোরি জুড়ে ছিল সে সব বই। কারও মগজধোলাই করার সময় ওই বইগুলি কাজে লাগানো হত। পিডিএফ ফাইল হিসেবে মোবাইলে ছিল ওই বইগুলি। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন টেলিগ্রাম অ্যাপে ওই সব বই ছিল তাঁর কাছে। ধরা পড়ার আশঙ্কা তৈরি হতেই টেলিগ্রাম অ্যাপ ডিলিড করে দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যেই সেই ডেটা সংগ্রহ করেছেন গোয়েন্দাদের। ফোনের ইন্টারনাল মেমোরি থেকে ওই পিডিএফ ফাইল জোগাড় করা হয়েছে। ভোপালে ওই আমিরুদ্দিন আনসারির যে সঙ্গীরা রয়েছেন, তাঁরাও টেলিগ্রাম অ্যাপ সরিয়ে ফেলেছিলেন। সেখানকার ডেটাও উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা।

ভোপালে ধৃত জঙ্গিরা আমিরুদ্দিনের ডোমজুড়ের বাড়িতে গত সাত মাসে দুবার এসেছিলেন। দু’দফায় এসে ছিলেন তাঁরা। ছাত্র পরিচয় দিয়ে নিজের কাছে রেখেছিলেন আনসারি। পরে ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়ে ভোপালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। গত এক বছরে মোট ন জন বাংলাদেশি জঙ্গিকে ভারতে এনে আশ্রয় দিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। ধৃত আমিরুদ্দিনকে জেরা করতে চায় এনআইএ, ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ সহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।

জানা গিয়েছে, আনিরুদ্দিন আনসারি আলকায়দা (আলকায়দা ইন ইসলামিক সাব কন্টিনেন্টাল) জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। এরা বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা দল, তাদের সমর্থিত সংগঠনের সদস্য।

পুরুলিয়ার পাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা আনিরুদ্দিন গত পাঁচ বছর ধরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন হাওড়ার বাঁকড়ায়। এত বছরেও কোনও সন্দেহ হয়নি। সূত্রের খবর, এলাকায় আনিরুদ্দিন শিক্ষক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। এলাকার মসজিদে দুঃস্থ শিশুদের শিক্ষকতা করতেন তিনি। অভিযোগ, বাড়িতেই জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছিলেন তিনি।

কিছুদিন আগেই ভোপাল থেকে চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করে সেই রাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস)। তাদের কাছ থেকেই আনিরুদ্দিনের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে বেঙ্গল এসটিএফ-এর গোয়েন্দাদেরও নজরে ছিলেন এই জঙ্গি। তাঁকে ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : Anis Khan Death: বেরিয়ে গিয়েছিল ঘিলু, ৯ টি গুরুত্বপূর্ণ আঘাত, কীভাবে মৃত্যু আনিসের? দ্বিতীয় রিপোর্ট কী বলছে?