Howrah: সাতসকালে হাওড়া পৌরনিগমের ভিতর ভয়াবহ ঘটনা, প্রাণ গেল ২ জনের
Howrah: পৌরনিগমের কর্মীরা বলছেন, ইউক্যালিপটাস গাছটি অনেকদিন ধরে হেলে ছিল। যেকোনও সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ছিল। এদিন সাতসকালে আচমকা গাছটি ভেঙে পড়ে। যদি অফিস টাইমে গাছটি ভেঙে পড়ত, তাহলে আরও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

হাওড়া: সাতসকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হাওড়া পৌরনিগমের ভিতর। গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল ২ জনের। মৃতদের নাম উমেশ মাহাতো ও নুর মহম্মদ। তাঁরা হাওড়া পৌরনিগমের কর্মী ছিলেন। একজন স্থায়ী ও অন্যজন অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। সাতসকালে এই দুর্ঘটনায় পৌরনিগমে শোরগোল পড়ে যায়।
হাওড়া পৌরনিগমের মুখ্য পৌর প্রশাসকের দফতরের সামনে একটি ইউক্যালিপটাস গাছ এদিন সকালে আচমকা ভেঙে পড়ে। সেইসময় সেখানে ছিলেন উমেশ ও নুর। গাছটি তাঁদের উপর ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে পৌঁছয় হাওড়া থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসেন পৌরনিগমের আধিকারিকরা। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা গাছটি সরানোর কাজ শুরু করেছেন।
পৌরনিগমের কর্মীরা বলছেন, ইউক্যালিপটাস গাছটি অনেকদিন ধরে হেলে ছিল। যেকোনও সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ছিল। এদিন সাতসকালে আচমকা গাছটি ভেঙে পড়ে। যদি অফিস টাইমে গাছটি ভেঙে পড়ত, তাহলে আরও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। প্রশ্ন উঠছে, গাছটি এতদিন হেলে থাকলেও কেন তা কেটে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি?
বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, গাছটি বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। দীর্ঘদিন ধরে পৌরনিগমকে জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বিজেপি নেতা উমেশ রাই বলেন, “কোনও ঝড়বৃষ্টি ছাড়াই গাছটি ভেঙে পড়ল। ২ জনের মৃত্যু দায় নিতে হবে পৌরনিগমকে।” তবে পৌরনিগমের তরফে পুর প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, “যেহেতু গাছটি সজীব গাছ ছিল, তাই ভেঙে পড়ার আমরা কোনও সম্ভাবনা দেখতে পাইনি। তাই জন্য কাটা হয়নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সরকারি নিয়ম মেনে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।”

