কোচবিহার : জয়ের শিরোাপায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলা। পদ্মশ্রী(Padma Shri) পেলেন কোচবিহারের তুফানগঞ্জের অধ্যাপক, গবেষক গৌরব ধর্মনারায়ণ বর্মা। বাংলার তথাকথিত ‘অপ্রচলিত’ উপভাষা কামতাপুরি নিয়ে দীর্ঘ গবেষণাই তাঁকে এনে দিল দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা। শুধু তাই নয়, কামতাপুরি ভাষা গবেষণায় ধর্মনারায়ণই প্রথম পদ্মশ্রী(Padma Shri) প্রাপক।
১৯৩৫ সালে ১০ নভেম্বর দেবশর্মা বর্মা ও মান্দল বর্মার পরিবারে জন্ম হয় ধর্মনারায়ণের। তুফানগঞ্জ নৃপেন্দ্র নারায়ণ মেমোরিয়াল উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে মাধ্যমিক পাশ করে কোচবিহার ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ ও বিএ পাশ করেন। ১৯৫৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে এম এ করেন ধর্মনারায়ণ। কিছুদিন কলকাতায় শিক্ষকতার পর ফিরে আসেন কোচবিহারে। শুরু করেন কামতাপুরি নিয়ে গবেষণা।
আরও পড়ুন : পদ্মশ্রী পাচ্ছি, শুনে চমকে গিয়েছিলাম: মৌমা দাস
বাংলা ভাষায় যে কয়টি উপভাষা আছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কামতাপুরি। মূলত,উত্তরবঙ্গের উপভাষা এই কামতাপুরি রাজবংশী ভাষারই একটি উপবিভাগ হিসেবে ধরা হয়। ২০১৮ সালে কামতাপুরি ভাষাকে রাজ্য সরকার স্বীকৃতি দেয়। জলপাইগুড়িতে রাজবাড়িপাড়ায় কামতাপুরি ভাষা আকাদেমির অফিস তৈরি করা হয়। এই আকাদেমির প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি।
আরও পড়ুন : পদ্মবিভূষণ পাচ্ছেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, ৭ বাঙালির নাম পদ্মশ্রী প্রাপকের তালিকায়
দীর্ঘদিন স্বতন্ত্রভাবেই কামতাপুরি ভাষা নিয়ে গবেষণা করেছেন গৌরব ধর্মনারায়ণ বর্মা। লিখেছেন কামতাপুরি ভাষা সাহিত্যের রূপরেখা, ‘মহাবীর চিলারায়’, ‘মহারাজা নর নারায়ণ’, ‘এ ষ্টেপ টু কামতা বিহারি ল্যাঙ্গুয়েজ’, ‘কামতা বিহারি ভাষার ব্যাকরণ’ সহ একাধিক বই। উল্লেখ্য, ধর্মনারায়ণ ছাড়া নারায়ণ দেবনাথ, তাঁতশিল্পী বীরেনকুমার বসাক, টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মৌমা দাস সহ আরও তিন বাঙালি পদ্মশ্রী(Padma Shri) সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।