Bankura: ছেলে জেলবন্দি, মুমূর্ষু বাবাকে বাঁচাতে হাসপাতালে গিয়ে রক্ত দিলেন জেলরক্ষীরা
Bankura: রক্তের সঙ্কট গোটা রাজ্যেই। ভোটের কারণে বিগত কয়েক মাসে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা কমে যাওয়াতেও সঙ্কট ক্রমেই তীব্র হয়েছে বলে মত অনেকের। একই ছবি বাঁকুড়াতেও। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যঙ্ক এখন কার্যত রক্তশূন্য।
বাঁকুড়া: ২০১৯ সাল থেকে একমাত্র ছেলে জেলে বন্দি। দুর্ঘটনায় মুমূর্ষু বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন জেলের রক্ষীরা। এমনই মানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগার। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার পাথরা গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার সোরেন গত পাঁচ বছর ধরে বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে বন্দি। সম্প্রতি খবর আসে সুকুমার সোরেনের বাবা লখাই সোরেন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন। ভর্তি রয়েছেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যল কলেজে। চিকিৎসকেরা জানান লখাই সোরেনকে বাঁচাতে হলে আপৎকালীনভাবে চার ইউনিট রক্তের দরকার।
এদিকে রক্তের সঙ্কট গোটা রাজ্যেই। ভোটের কারণে বিগত কয়েক মাসে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা কমে যাওয়াতেও সঙ্কট ক্রমেই তীব্র হয়েছে বলে মত অনেকের। একই ছবি বাঁকুড়াতেও। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যঙ্ক এখন কার্যত রক্তশূন্য। এই পরিস্থিতিতে লখাই সোরেনের প্রয়োজনীয় রক্ত মিলবে কোথা থেকে তা ভেবে চূড়ান্ত অসহয়তার মধ্যে পড়ে পরিবার।
এরইমধ্যে গোটা ঘটনার খবর এসে পৌঁছায় বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে। খবর পাওয়া মাত্রই জেলা সংশোধনাগারের তরফে চার রক্ষী ছুটে যান বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে তাঁরা চার ইউনিট রক্তদান করেন। এক বন্দির পরিবারের জন্য জেল রক্ষীদের এমন মানবিক কাজে রীতিমত প্রশংসার সুর সব মহলের। খুশি জেল রক্ষী থেকে আধিকারিকরাও।