Facebook Account Hack: দুঁদে পুলিশকর্তার ফেসবুক হ্যাক, তোলপাড় সাইবার থানা
পুলিশকর্তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা একটি থেকে হয়েছে ৪টি। সেগুলিতে অশ্লীল ছবিও পোস্ট করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি: এবার পুলিশের ঘরেই হ্যাকারের হানা। হ্যাকারদের কবলে একেবারে দুঁদে পুলিশকর্তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। পুলিশকর্তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তাঁর নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে একবারে তাঁকে অপদস্ত করার ছক কষা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে খোদ জলপাইগুড়ির ডেপুটি পুলিশ সুপার (DSP)-র সঙ্গে। পরিস্থিতি এমন যে, হ্যাকারদের কবল থেকে পরিত্রাণ পেতে সাইবার থানার দারস্থ হয়েছেন খোদ ডেপুটি পুলিশ সুপার। সোমবার এহেন খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির পুলিশ মহলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির ডেপুটি পুলিশ সুপার সমীর পালের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছিল। রবিবার থেকে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪। এই ফেসবুক অ্যাকাউন্টগুলির কোনটিতে তিনি আসবাবপত্র বিক্রি করবেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে, আবার কোনওটিতে কিছু মহিলার ছবি দিয়ে ফোন, চ্যাট সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার জলপাইগুড়ি সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন DSP। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি সাইবার থানার পুলিশ। যদিও সোমবার রাত পর্যন্ত তদন্তে কোনও কিনারা মেলেনি।
DSP-র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যে হ্যাক হয়েছে, তা তিনি নিজেও প্রথমে বুঝতে পারেননি। পরিচিতদের থেকেই জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন, “সোমবার সকালে কোচবিহার, রায়গঞ্জ প্রভৃতি জায়গা থেকে আমার অতিপরিচিত, শুভানুধ্যায়ী কয়েকজন আমাকে ফোন করে জানায় আমার নাম, ছবি ব্যবহার করে আরও অন্তত তিনটি নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে আমার পরিচিতদের কাছে বিভিন্ন আসবাবপত্রের বিজ্ঞাপনও পাঠানো হয়েছিল। কিছু অশ্লীল ছবিও পোস্ট করা হয়। আমি ফেসবুক ব্যবহার না করায় এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলাম।” তবে ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান। সাইবার থানার তরফেও হ্যাকারদের খোঁজ শুরু হয়েছে। কে বা কারা এই কাণ্ড করল, সে ব্যাপারে খোঁজ শুরু হয়েছে।
তবে কারা, কেন এভাবে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করল এবং আসবাব বিক্রি থেকে মহিলাদের ছবি দিয়ে নানান পোস্ট করা হয়েছে, তা বুঝতে পারছেন না ডিএসপি (হেডকোয়ার্টার) সমীর পাল। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, “আমাকে বদনাম করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজ করা হয়েছে।”
যদিও শীঘ্রই গোটা বিষয়টি সামনে চলে আসবে বলে আশাবাদী জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতোর। তিনি বলেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে জেলার শীর্ষস্থানীয় দুঁদে পুলিশকর্তার ফেসবুক হ্যাক এবং ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে অশ্লীল ছবি পোস্টের ঘটনায় জেলার পুলিশ মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।