Elephant Attack: দাঁতালের শূড়ে দুলছে ছোট্ট ছেলেটা, বাঁচাতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি মায়ের, পুজোতেই ফাঁকা কোল
Elephant Attack: শুক্রবার রাতে একটি দলছুট হাতি খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে পড়ে। সেই সময় রাস্তা দিয়ে ছেলে বিনোদ বিশ্বকর্মাকে (৬) নিয়ে বাড়ি ফিরছিল বা সুপ্রিয়া বিশ্বকর্মা। তাঁদের দেখে ছুটে আসে দাঁতাল। মুহূর্তে বিনোদকে শূন্যে তুলে আছাড় মারে।
মালবাজার: পুজোর মধ্যে বিষাদের ছায়া মেটালিতে। মায়ের হাত ধরে বাড়ি ফেরার পথে হাতির হামলায় মৃত্যু ছেলের। আশঙ্কাজনক অবস্থা মায়ের। ভর্তি মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে মালবাজার মহকুমার মেটলি মঙ্গলাবাড়ি নতুন কলোনি পাড়ায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে একটা দলছুট হাতি খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে পড়ে। সেই সময় রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল
শুক্রবার রাতে একটি দলছুট হাতি খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে পড়ে। সেই সময় রাস্তা দিয়ে ছেলে বিনোদ বিশ্বকর্মাকে (৬) নিয়ে বাড়ি ফিরছিল বা সুপ্রিয়া বিশ্বকর্মা। তাঁদের দেখে ছুটে আসে দাঁতাল। মুহূর্তে বিনোদকে শূন্যে তুলে আছাড় মারে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুরতরভাবে জখম হন সুপ্রিয়া দেবীও। তাঁর চিৎকারেই ছুটে আসেন আশপাশের এলাকার লোকজন। আর তখনই চম্পট দেয় দাঁতালটি।
স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু ছেলেটিকে আর বাঁচানো যায়নি। এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই নিয়ে হাতির হামলায় পরপর দুজনের মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রশ্নের মুখে বনকর্মীদের ভূমিকা। এদিকে খবর পেতেই এলাকায় যান পুলিশ ও বনকর্মীরা। কিন্তু, তাঁরা যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার লোকজন। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তিও শুরু হয়ে যায়। চলে বিক্ষোভ। এরইমধ্যে ছেলেটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।