Jalpaiguri: প্রকাশ্য দিবালোকে বিজেপি নেতার বাড়িতে অবাধে ‘লুঠ’, আপেক্ষ তৃণমূল কাউন্সিলরের

Nileswar Sanyal | Edited By: জয়দীপ দাস

Apr 25, 2024 | 9:16 PM

Jalpaiguri: অভিযোগ, ওই বাড়িতে এখন আর কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে সেখানে একটি অসাধু চক্র জাঁকিয়ে বসেছে। প্রকাশ্য দিবালোকে তাঁরা ওই বাড়ির ইট, জানালা,লোহার রড সহ অন্যান্য সামগ্রী খুলে টোটো রিক্সা বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে।

Jalpaiguri: প্রকাশ্য দিবালোকে বিজেপি নেতার বাড়িতে অবাধে ‘লুঠ’, আপেক্ষ তৃণমূল কাউন্সিলরের
ঘটনায় শোরগোল এলাকায়
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: প্রকাশ্য দিবালোকে বিজেপি নেতার বাড়ি থেকে অবাধে লুঠ হয়ে যাচ্ছে ইট, কাঠ, জানালা, দরজা। অভিযোগ, দেখেও দেখে না পৌর প্রশাসন। আক্ষেপ খোদ তৃণমূল কাউন্সিলরের। আটের দশকে জলপাইগুড়ি জেলায় একসময় যেই কয়েকজন হাতে গোনা বিজেপি নেতা ছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন প্রয়াত জুপি বিশ্বাস। তিনি একদিকে যেমন ছিলেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য, পাশাপাশি তিনি ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। বছর দেড়েক আগেও তাঁর কলকাতার বাড়িতে এসে মধ্যাহ্নভোজ সেরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তার কিছু মাস পরে মৃত্যু হয় জুপি বাবুর। এই আদি বিজেপি নেতার আদি বাড়ি জলপাইগুড়ি পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিল্প সমিতি পাড়া এলাকায়। একসময় অনেক শরিক মিলে ওই বাড়িতে থাকতেন জুপিবাবু। এরপর একে একে সবাই ওই বাড়ি ছেড়ে সকলে অন্যত্র চলে যায়। জুপিবাবুও কলকাতায় চলে যান। দীর্ঘদিন হয়ে গেল ওই বাড়িতে আর কেউ থাকে না। 

অভিযোগ, ওই বাড়িতে এখন আর কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে সেখানে একটি অসাধু চক্র জাঁকিয়ে বসেছে। প্রকাশ্য দিবালোকে তাঁরা ওই বাড়ির ইট, জানালা,লোহার রড সহ অন্যান্য সামগ্রী খুলে টোটো রিক্সা বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এমনই একটি টোটো আটক করেন স্থানীয় তৃনমূল কাউন্সিলর উত্তম বোস। টোটো থেকে ইট নামিয়ে রাখতে বাধ্য করেন। এরপর পুলিশকে খবর দিতে গেলে টোটো চালক পালিয়ে যায়।

ঘটনায় আক্ষেপ করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে চলছে। তিনি নিজে পৌর কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যাবস্থা নিতে বহুবার আবেদন করেছেন। কিন্তু পৌরসভার তরফে কোনও ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, আগেও তিনি কয়েকবার দুষ্কৃতিদের আটকানোর চেষ্টা করেছেন। ফলে তিনিই এখন এদের টার্গেট হয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি এই বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। তাই পৌরসভার দ্রুত পদক্ষেপ দাবি করছেন তিনি।

এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, আসলে নির্বাচনের জন্য তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন। খুব দ্রুত তিনি পদক্ষেপ করবেন। 

Next Article