জলপাইগুড়ি: অনেকদিন ধরে রাস্তা তৈরি হয় না। এদিকে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। কিন্তু, রাজগঞ্জের মান্তাদারি এলাকার মুকুন্দভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাখলার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা চেয়েও পাননি এলাকাবাসী। অবশেষে, সেই রাস্তার (Road) শিলান্যাস অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। কিন্তু তাতেও গোলমাল! শিলান্যাস অনুষ্ঠানে একটি ফ্লেক্সকে কেন্দ্র করে বিরোধ তুঙ্গে। কী এমন রয়েছে সেই ফ্লেক্সে?
সরকারি অনুষ্ঠানের ওই ফ্লেক্সে রয়েছে, শিলান্যাস অনুষ্ঠানের খুঁটিনাটি। সঙ্গে একদিকে রয়েছে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ছবি। জেলাপরিষদ কর্তৃক ওই রাস্তার শিলান্যাস অনুষ্ঠানের ফ্লেক্সে কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়ির সাংসদ নন। কোনও প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও তিনি নেই। তাহলে কেন তাঁর ছবি সরকারি অনুষ্ঠানে? ঘটনায় জলপাইগুড়ি জেলা সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ প্রথমটা যুক্তি দিতে না পারলেও পরে একটু থেমে বলেন, “অভিষেকবাবু তো সরকারের লোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মতো ওঁ সরকারের লোক। আমরা ওঁর ছবি দিয়েই থাকি।”
ঘটনায় পাল্টা জেলা বিজেপি সহ-সভাপতি অলোক চক্রবর্তী বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো রাজ্য সরকারের কেউ নন। তাহলে কেন তাঁর ছবি থাকবে! তাহলে কি তৃণমূল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রজেক্ট করা শুরু করল! আসলে সরকারি টাকায় নিজেদের নেতা-নেত্রীদের প্রচার করে যাচ্ছেন। মানুষ সময়ে এর যোগ্য জবাব দেবে।”
মঙ্গলবার, রাজগঞ্জের মান্তাদারি অঞ্চলের মুকুন্দভিটা এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে একটি দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরির শিলান্যাস করেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন। সেই রাস্তার জন্য খরচ হবে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা। সেই রাস্তার শিলান্যাসে লাগানো ফ্লেক্স নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। জেলা সভাধিপতির কথায়, “অনেকদিন এখানকার লোকজন বলছিলেন, রাস্তাটা খুব খারাপ। চলাফেরা করা যায় না। তাই, সেদিক থেকে ভালই হয়েছে। এতে সাধাণ মানুষের অনেক সুবিধা হবে”
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, মান্তাদাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপক বিশ্বাস, মান্তাদাড়ি অঞ্চল সভাপতি ললিত রায় সহ-অন্যান্যরা।