Siliguri Municipal Election: দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত গৌতম দেব, ফেসবুকে নিজেই জানালেন তৃণমূল প্রার্থী
COVID19: ফেসবুকে গৌতম জানিয়েছেন, তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। নিজের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তিনি।
ফেসবুকে গৌতম জানিয়েছেন, তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। নিজের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তিনি। তবে, আপাতত স্থিতিশীল তিনি। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই তাঁর বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। তাই দ্বিতীয়বার কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন গৌতম।
এদিকে, সামনেই পুরভোট। সাতদিন আপাতত হাসপাতালেই থাকবেন গৌতম। তাহলে প্রচারের কী হবে? তৃণমূল সূত্রে খবর, আপাতত, দলের কর্মীরাই গৌতমের হয়ে প্রচার চালাবেন। তৃণমূল নেতা সুস্থ হলে দ্রুত ফের প্রচারে নামবেন তিনি।
শিলিগুড়ির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পুরভোটে লড়বেন গৌতম। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। তারপর তাঁকে শিলিগুড়ি পুরপ্রশাসকের দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এ বার পুরভোটে গৌতমকে টিকিট দেওয়ায় জল্পনা শিলিগুড়ির মেয়র পদপ্রার্থীর দৌড়ে বিজেপির শঙ্কর ঘোষ ও বামেদের অশোক ভট্টাচার্যের পাশেই থাকবেন তিনি। উল্লেখ্য, কলকাতা পুরভোটের মতোই শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর ও বিধাননগরের পুরনির্বাচনে দলের পুরনো নেতৃত্বের উপর আস্থা রাখছে তৃণমূল।
কিছুদিন আগেই প্রচারে গিয়ে ক্রিকেট খেলেন গৌতম। জানান, “প্রচারে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। সিপিএম-সহ বিরোধী দলগুলো আমার বিরুদ্ধে প্রচার করছে, আমি নাকি বহিরাগত। কিন্তু অশোক ভট্টাচার্যের মতো সিপিএমের নেতারা এমন ওয়ার্ড থেকে লড়ছেন যাঁরা ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা নন। আমি এই ওয়ার্ডে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে একটি বাড়ি কিনছি। সেখানেই আগামী পাঁচ বছর থাকব। এটাই আমার নীতি। বাসিন্দাদের পরিষেবা দেব।”
শিলিগুড়িতে ভেঙেছে বাম-কংগ্রেস জোট। ২০ টি আসনে পৃথকভাবে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, নিজেদের প্রার্থী তালিকা আংশিকভাবে প্রকাশ করেছে বাম শিবির। তালিকা প্রকাশকালে বাম শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়, কংগ্রেসের জন্যই আসন ছেড়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু, শেষে পৃথকভাবে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। বামেদের তরফে দলের স্বার্থে অবসর ভেঙে ভোটে লড়তে চলেছেন সিপিএমের অশোক স্তম্ভ।
অন্যদিকে বিজেপির তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁর কথায়, “বামেরা প্রাসঙ্গিক নয়। লড়াই দেওয়ার ক্ষমতাও নেই। অশোক মডেল ফেলড। যারা আইএসএফের সঙ্গে একদা জোট করেছিল তাদের নীতি ঠিক নয়। আর তৃণমূলকে মানুষ ভোট দেবে না। আমরাই পৌরবোর্ড দখল করব”।
অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে গৌতম দেব বলেন, “অশোকবাবুরা নীতিহীন। ক্ষমতায় থাকতে এসব করছেন। কিন্তু উন্নয়নের প্রশ্নে এবার আমরা জিতব। আমাদের রিপোর্ড কার্ড দেখে মানুষ ভোট দেবে।”
সদ্যই বদলেছে নির্বাচনের দিনক্ষণ। ২২ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। গত শনিবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভার যে বকেয়া ভোট তা হবে বলেই এখনও অবধি সিদ্ধান্ত রয়েছে। কারণ, এ নিয়ে এখনও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনও কিছু বলেনি।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh on Bengal BJP: ‘বিজেপিতে কেবল নিরামিষ হয় না, বিরিয়ানিও খাওয়া হয়…সময়ে মিটে যাবে’