জলপাইগুড়ি: সম্প্রতি বাংলায় একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যার জেরে নারী সুরক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। কয়েকদিন আগে নদিয়ার হাঁসখালিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও তার মৃত্যুর পর জোর করে দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার কাণ্ডে উত্তপ্ত বঙ্গ- রাজনীতি। এই সবের মধ্যে আবার নাম জড়ালো জলপাইগুড়ির। সেখানে আশা কর্মীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে আশা কর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিলেন আশা কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, পয়লা বৈশাখের দিন দার্জিলিংয়ের মকাইবাড়ি লাকা এলাকায় ডিউটি সেরে গাড়ি চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক আশা কর্মী। অভিযোগ, গাড়িতে আর কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে গাড়ির চালক। এরপর তাঁকে পাহাড়ি রাস্তার ধারে গাড়ি থেকে ফেলেই, ওই গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত ড্রাইভার। এরপর নির্যাতিতা মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুলিশ।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার দুপুরে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় স্মারকলিপি দিল আশা কর্মীদের সংগঠন। ঘটনায় সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি নেহা বেগম বলেন, “দার্জিলিং এর ওই আশা কর্মীকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনায় আমরাও আতঙ্কিত। আমরা প্রায়শই মাদার স্কট করে গাড়িতে একা-একা ফিরি। তাই দার্জিলিং এর ঘটনার পর আমরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের দাবি দার্জিলিং এর ঘটনায় অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি পাশাপাশি আর যাতে কোনও আশা কর্মী ধর্ষিতা না হয় তার জন্য উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা।”
আরও পড়ুন: Jalpaiguri Death: বাড়িতে ছিল না বাবা-মা, সেই সময়েই কিশোরীর সঙ্গে ঘটে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা