Jalpaiguri Death: বাড়িতে ছিল না বাবা-মা, সেই সময়েই কিশোরীর সঙ্গে ঘটে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা
Jalpaiguri: পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। গোটা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানা।
ময়নাগুড়ি: দোলনায় দোল খেতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি কিশোরীর। কাপড়ের দোলনা গলায় পেঁচিয়ে মৃত্যু হয় তার। বুধবার ঘটনাটি ঘটে ময়নাগুড়ি রোড এলাকায়। মৃতার নাম সোনালী সরকার(১৬)। ঘটনার সময় ওই কিশোরীর বাবা- মা বাড়িতে ছিলেন না। জল দিতে এসে দোলনায় ওই কিশোরীকে ঝুলতে দেখেন ডেলিভারি বয়। তিনিই খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। গোটা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরীর বাবা রাম প্রসাদ সরকার পেশায় স্বর্ণশিল্পী। প্রতিদিনের মতই বুধবার সকালে তিনি নিজের কাজে বেরিয়ে যান। স্ত্রী গিয়েছিলেন কিছুটা দূরে চিকিৎসকের কাছে। সেই সময়ে বাড়িতেই ছিল তাঁদের দুই মেয়ে। বাবা-মা না থাকায় বারান্দায় খেলছিল দু’জনে। বড় মেয়ে সোনালী সেখানেই একটি কাপড়ের দোলনায় চেপে দোল খাচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, দোল খাওয়ার সময় হঠাৎই সেটি পেঁচিয়ে যায় তার গলায়। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকায় দীর্ঘক্ষণ ওই অবস্থাতেই ঝুলে ছিল। এরপর বাড়িতে ডেলিভারি বয় জল দিতে এসে ওই অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখেন কিশোরীকে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ঘটনা প্রসঙ্গে কিশোরীর বাবা রামপ্রসাদ বাবু জানান, “তার বাড়ির বারান্দায় রয়েছে একটি দড়ি ও কাপড়ের তৈরি দোলনা রয়েছে। প্রতিদিন সেই দোলনাটিতেই চড়ে তার বছর পাঁচেকের ছোট মেয়ে এবং বড় মেয়ে সোনালী। কোনওদিন এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তা তিনি আন্দাজই করেননি। জলের ডেলিভারি বয় প্রথম তার মেয়েকে ওই অবস্থায় দেখতে পান।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের পর ওই কিশোরীর মৃতদেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানা। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।