Chopra Suicide: ‘মেনে নিলে এমন পরিণতি হত না’, সকালের আলো ফুটতেই প্রেমিক যুগলের অবস্থা দেখে থমকে গেলেন স্থানীয়রা
Raigunj: এরপরই ভালোবেসে ওই যুগল নিল চরম সিদ্ধান্ত।বাড়ি থেকে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আত্মঘাতী যুগল।
চোপড়া: একজন ষোলো, একজন সতেরো। দু’জনই নাবালক, প্রাপ্ত বয়স্ক হয়নি। ওরা জড়িয়েছিল ভালবাসার বন্ধনে। ভেবেছিল ঘর বাঁধবে একে অপরের সঙ্গে। তেমনটা ঠিক হল না। প্রণয়ের সম্পর্কের মধ্যেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় ছেলেটির পরিবারের সদস্যরা। মেয়েটিকে মেনে নেয়নি তাঁরা। এরপরই ভালোবেসে ওই যুগল নিল চরম সিদ্ধান্ত। বাড়ি থেকে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় আত্মঘাতী যুগল। গ্রামের পাশেই চা বাগানের ভিতরের একটি গাছ থেকে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃতদের নাম সনিতা হাঁসদা (১৬) এবং সারজেন মুর্মু (১৭)। উত্তর দিনাজপুর চোপড়ার হফতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের জিরো পানি এলাকায় তাঁদের বাস। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস ছয়-সাতেক আগে সনিতার সঙ্গে সারজেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।তাঁরা চেয়েছিল বিয়ে করে সংসার বেঁধে সারাজীবন চলতে। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ছেলের পরিবারের সদস্যরা। মেয়ের পরিবারের লোকজন রাজি থাকলেও ছেলের পরিবারের সদস্যরা বেঁকে বসে।শেষমেশ উপায় না দেখেই মর্মান্তিক পরিণতির পথ বেছে নেয় তাঁরা।
এদিন সকালে গ্রাম থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরের এক চা বাগানের ছায়া গাছে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর যায় চোপড়া থানার পুলিশের কাছে। সেখানে গিয়ে যুগলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তবে ঘটনার আসল রহস্য উন্মোচনে তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ।
মেয়েটির মা জানায়, “ছেলেটি ওকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। ওরা যখন ছেলে বাড়িতে ওঠে তখন মেনে নেয়নি কেউ ওদের। পরে বাড়ি ফিরে আসে আমার মেয়ে। কালকে রাত্রিবেলা হঠাৎ ছেলেটি আসে। আমি তখন ঘুমোচ্ছিলাম। সকালে উঠে দেখি মেয়ে নেই। ওকে খুঁজতে বের হই তখন আমায় একজন জানায় এই ঘটনা ঘটেছে।”