Lawyer arrested : এটিএম থেকে টাকা লুঠের চেষ্টা, গ্রেফতার আইনজীবী
Lawyer arrested : জানা গিয়েছে, মোহিতনগর এলাকার বাসিন্দা দীপঙ্কর একসময় আইনজীবী হিসাবে কাজ করতেন। বছর চারেক আগে অপরাধমূলক ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) বার অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে বহিষ্কার করে।
জলপাইগুড়ি : এটিএম থেকে টাকা লুঠের চেষ্টা, এটিএম (ATM) জালিয়াতির খবর এ রাজ্যে নতুন নয়। প্রায়শই রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘটে এই ধরনের ঘটনা। কিন্তু, এটিএম লুঠের চেষ্টায় গ্রেফতার আইনজীবী (Lawyer arrested)? শুনতে অবাক লাগলেও এ ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম ভেঙে লুটের চেষ্টার অভিযোগে এক আইনজীবীকে গ্রেফতার করল জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিশ। অভিযোগ, গত ১২ জানুয়ারি ভোরে জলপাইগুড়ি মালকানি এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম ভেঙে লুঠ করার চেষ্টা চালায় দুস্কৃতীরা। এই ঘটনার তদন্তে নেমে জলপাইগুড়ি মোহিত নগর এলাকার বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী দীপঙ্কর সরকার নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতকে বুধবার আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মোহিতনগর এলাকার বাসিন্দা দীপঙ্কর একসময় আইনজীবী হিসাবে কাজ করতেন। বছর চারেক আগে অপরাধমূলক ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে বহিষ্কার করে। পুলিশের দাবি, এর আগেও এটিএম লুঠের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে দীপঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, এবার এটিএম কাউন্টারে সিসিটিভির ছবি দেখে দীপঙ্করকে চিহ্নিত করে পুলিশ। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। লুঠের ঘটনায় একেবারে আইনজীবীর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে নাগরিক মহলে।
ঘটনায় জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক অভিজিৎ সরকার বলেন, “বছর চারেক আগে দীপঙ্কর সরকারের নামে এই জাতীয় অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় আমরা সকল সদস্য মিলে তাঁকে বার অ্যাসোসিয়েশন থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তারপর থেকে ওকে বার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।”