Bangladeshi Footballer death: খেলতে-খেলতে আচমকাই পড়লেন মাটিতে, ডুয়ার্সে মর্মান্তিক পরিণতি বাংলাদেশি ফুটবলারের
Dooars: তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Birpara state general hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ডুয়ার্স: প্রয়াত বাংলাদেশের (Bangladesh) ফুটবলার (Footballer) হানিফ রসিদ ডাব্লু। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ডুয়ার্সে খেলতে এসে মৃত্যু তাঁর। খেলা চলাকালীন আচমকাই মাঠে পড়ে যান হানিফ। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Birpara state general hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কী ঘটেছে?
সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি জেলার ডুয়ার্সে গ্রীনল্যান্ড ডুয়ার্স ভেটেরান্স ক্লাবের উদ্যোগে গয়েরকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দুইদিন ব্যাপী ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রবিবার (২২ জানুয়ারি) সেই প্রতিযোগিতার সূচনা হয়। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের ১২টি দল অংশগ্রহণ করে।
রবিবার শেষ খেলায় মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও মালদা। সেখানেই খেলা চলাকালীন হঠাৎ মাঠে পড়ে যান ওই বাংলাদেশি খেলোয়াড়। সঙ্গে-সঙ্গে মাঠেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অভিযোগ, সেই মুহূর্তে খেলার মাঠে কোনও অ্যাম্বুলেন্স ছিল না। তবে এত বড় খেলার আয়োজনের পরেও মাঠে অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় পরিষেবা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন ।
অপরদিকে, মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসার পরও ওই ফুটবলারের জ্ঞান না ফেরায় তাঁকে খুব দ্রুততার সহিত মাঠ থেকে উদ্ধার করে গাড়িতে করেই বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু রেলগেটের কাছে আটকে পড়ে সেই গাড়ি। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে কী কারণে মৃত্যু তা এখনো খোলসা করেননি চিকিৎসকরা।
ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, “ভেটারেন্স প্লেয়ারদের নিয়ে বানারহাটের একটি ক্লাব ফুটবল খেলার আয়োজন করেছিল। খেলা শুরু হলে মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বাংলাদেশের এক খেলোয়াড়। এরপর তাঁকে বীরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” অপরদিকে জলপাইগুড়ি জেলা ক্রিড়া সংস্থার সচিব কুমার দত্ত বলেন, “এই কমিটি আমাদের কোনও অনুমতি নেয়নি। তবে এটি একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। মাঠে অ্যাম্বুলেন্স রাখা বাধ্যতামূলক। কেন রাখেনি তা খতিয়ে দেখা হবে।”