পেনশন চাইলে ব্যাঙ্কের জবাব ‘মোদীকে বলুন’, প্রধানমন্ত্রীর খোঁজে বিজেপির কার্যালয়ে বৃদ্ধা, তারপর…
ব্যাঙ্কের পাশেই ছিল বিজেপির জেলা কার্যালয়। বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে বৃদ্ধা সেখানে গিয়ে সোজা প্রশ্ন করে বসেন, "মোদীজি কোথায়?"
জলপাইগুড়ি: সময় মতো পেনশন আসেনি অ্যাকাউন্টে। কিন্তু না আসার কারণ কী? প্রশ্ন তুলতেই ব্যাঙ্ক কর্মীরা বললেন, ‘মোদীকে বলুন।’ সেই শুনে পাশের বিজেপি কার্যালয়ে গিয়ে মোদীর খোঁজ জুড়ে দিলেন মহিলা। প্রত্যাশিতভাবেই সেখানে সশরীরে প্রধানমন্ত্রীর দেখা পাওয়া যায়নি। কিন্তু, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মীরা।
জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা বন্দনা সিং। শনিবার দুপুরে ডিবিসি রোড এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পেনশনের টাকা তুলতে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর জানতে পারেন তাঁর পেনশনের টাকাই এসে পৌঁছয়নি। সেই সময় তিনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান, কেন তাঁর পেনসন আসেনি? বন্দনাদেবীর দাবি, জবাবে ব্যাঙ্ক কর্মীরা বলেন, “পেনশন না এলে আমরা কী করব? মোদীকে গিয়ে বলুন।”
পাশেই ছিল বিজেপির জেলা কার্যালয়। বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে বৃদ্ধা সেখানে গিয়ে সোজা প্রশ্ন করে বসেন, “মোদীজি কোথায়?” কেন প্রধানমন্ত্রীকে খুঁজছেন? বিজেপি কর্মীদের উত্তরে বৃদ্ধা বলেন, “পেনশন আসেনি। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বলেছে মোদীজির সঙ্গে কথা বলতে।” তাঁর এই অভিযোগ শুনে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে ছুটে আসেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তুমুল বচসা হয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। ঘটনার খবর যায় কোতোয়ালি থানায়। আসে পুলিশ। বচসা মেটে।
তবে জেলা বিজেপি সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তীর অভিযোগ, ওই ব্যাঙ্ক থেকে প্রায়শই এই ধরনের অভিযোগ আসে। কখনও গ্যাসের ভর্তুকি বা কখনও অন্যান্য খাতে টাকা না এলে বলে দেওয়া হয়, মোদীজির সঙ্গে কথা বলুন।
অন্যদিকে অভিযোগকারী বন্দনা সিং বলেন, “গত বৃহস্পতিবার আমি একবার ঘুরে গিয়েছি। পেনশন আসেনি। আজ আবার এলাম। আমাকে ব্যাঙ্কের লোকেরা বললেন টাকা আসেনি। আমি বললাম কেন আসেনি। আমার উপর ঝাঁঝিয়ে ওঠেন ব্যাঙ্ক কর্মী। বলেন পেনশন আসেনি তো আমি কী করব। মোদীকে বলুন। এরপর আমি বিজেপি অফিসে গিয়ে সব খুলে বলি।”
যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার রাজীব রঞ্জন ঝাঁ তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “এই ধরনের কোনও দুর্ব্যবহার কারোর সঙ্গে করা হয় না। ওই বৃদ্ধা ভুল বুঝেছেন। রাজ্য সরকারের পেনশন এলেও কেন্দ্রীয় সরকারের পেনশন আসেনি। আমরা সেটাই বলেছি।”