AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

RG Kar case: ‘তিলোত্তমার বিচার চেয়ে আন্দোলন যেন থমকে না যায়’, এগিয়ে এলেন ভিক্ষুকরাও

RG Kar case: জলপাইগুড়ি ডিবিসি রোড এলাকায় রয়েছে একটি বহু প্রাচীন শনি মন্দির। প্রতি শনিবার পুজো দিতে সকাল থেকে প্রচুর ভিড় হয়। তাই সেখানে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিক্ষুকরা আসেন। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

RG Kar case: 'তিলোত্তমার বিচার চেয়ে আন্দোলন যেন থমকে না যায়', এগিয়ে এলেন ভিক্ষুকরাও
প্রতিবাদী আন্দোলন সংগঠিত করতে আর্থিক সাহায্য ভিক্ষুকদের
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2024 | 7:43 PM
Share

জলপাইগুড়ি: তিলোত্তমার বিচার চেয়ে আন্দোলন। একদিকে, জুনিয়র ডাক্তাররা যেমন আন্দোলনে নামেন। তেমনই রাজ্যের সাধারণ মানুষও আন্দোলনে সামিল হন। তিলোত্তমার দ্রুত বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। জলপাইগুড়িতে প্রতিবাদী আন্দোলন সংগঠিত করতে জলপাইগুড়ি নাগরিক সংসদও গঠন হয়েছে। আর তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষই। এবার তিলোত্তমার বিচার চেয়ে নাগরিক সংসদকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ভিক্ষুকরা।

ভিক্ষের টাকায় যাঁদের দিন গুজরান হয়, তাঁরাও তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে একজোট হলেন। যাতে অর্থের অভাবে নাগরিকদের আন্দোলন থেমে না যায়, তার জন্য দলবেঁধে আর্থিক সাহায্য করলেন জলপাইগুড়ি নাগরিক সংসদকে। এই ঘটনার সাক্ষী থাকল শহর জলপাইগুড়ি।

জলপাইগুড়ি ডিবিসি রোড এলাকায় রয়েছে একটি বহু প্রাচীন শনি মন্দির। প্রতি শনিবার পুজো দিতে সকাল থেকে প্রচুর ভিড় হয়। তাই সেখানে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিক্ষুকরা আসেন। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

এদিন সেখানে পুজো দিতে এসেছিলেন জলপাইগুড়ি নাগরিক সংসদের সদস্য দীপা সরকার। পুজো শেষ করে তিনি ভিক্ষুকদের ভিক্ষা দিচ্ছিলেন। তাঁর হাতে ছিল নাগরিক সংসদের কুপন। সেই কুপন দেখে ভিক্ষুকরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, তাঁর হাতে ওই কুপনটা কীসের। তিনি বিস্তারিত বলার পর, ভিক্ষুকরা বলেন, তাঁরাও সবাই আর্থিক সাহায্য করবেন।

এরপর এক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক-সহ একে একে মোট ১৩ জন কুপন সংগ্রহ করেন। কুপনে লেখা, সুবিচারের দাবিতে প্রতিবাদী আন্দোলন সংগঠিত করতে এই আর্থিক সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। সেই কুপন সংগ্রহ করে তাঁরা ১০ টাকা করে দেন।

নয়নতারা সূত্রধর নামে এক ভিক্ষুক বলেন, “তিলোত্তমার বিচার চাই। আন্দোলন যেন চলতে থাকে। সেজন্য সাহায্য করেছি।” নাগরিক সংসদের সদস্য দীপা সরকার বলেন, “তাঁরা যে দশ টাকা করে চাঁদা দিয়েছেন, এটাই আমাদের কাছে অনেক।” নাগরিক সংসদের আর এক সদস্য প্রফেসর সৌপায়ন মিত্র বলেন, “সাধারণ মানুষ তিলোত্তমার বিচার চাইছেন। যাঁরা ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন গুজরান করেন, আজ তাঁরাও এগিয়ে এলেন। তিলোত্তমার দ্রুত বিচার চাইছেন সবাই।”