Bikaner Guwahati Express Train Accident: আজও ফের তদন্তকারীদের জেরার মুখে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের চালক! তদন্ত শুরু রেলের
Bikaner Guwahati Express Train Accident: ট্রেনের গার্ড, লাইনম্যান-সহ অন্যান্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। কী কারণে, কী ভাবে দুর্ঘটনা, জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে রেল।
জলপাইগুড়ি: আলিপুরদুয়ার ডিভিশনাল রেলওয়ের ম্যানেজারের কার্যালয়ে পৌঁছলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের চালক প্রদীপ কুমার। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান ট্রেনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পাশাপাশি ট্রেনের গার্ড, লাইনম্যান-সহ অন্যান্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। কী কারণে, কী ভাবে দুর্ঘটনা, জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে রেল।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত চালকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা। এক যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি। লিখিত অভিযোগে ওই যাত্রী জানিয়েছেন, নিউ জলপাইগুড়ি ছাড়ার পরে কোচবিহারের দিকে যাওয়ার পথেই ট্রেনটি অত্যন্ত জোরে চলতে শুরু করে। তারপরেই হঠাৎ জোরে ব্রেক কষে চালক। তারপরেই ট্রেনের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
যদিও রেল চালক প্রদীপ কুমারের বক্তব্য, “তখন ১৬টা বেজে ৫২-৫৩ মিনিট হবে। আচমকাই একটা ভীষণ ঝাঁকুনি অনুভব করি। তারপরই এর্মাজেন্সি ব্রেক কষি। পিছনে কী হচ্ছে, আমার পক্ষে জানাটা সম্ভব ছিল না। যখন দেখি, তখন পিছনের ৬ চাকা লাইনচ্যুত হয়েছিল। কারণ আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম। ট্র্যাকশন মোটর খোলা ছিল কিনা, সেটা জানা আমার পক্ষে কোনওপক্ষেই সম্ভব নয়।” রেলমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, শনিবার সকাল পর্যন্তও রেললাইন মেরামতির কাজ শেষ হয়নি। রাতভর চলেছে কাজ। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দু’ঘণ্টার মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান। ইঞ্জিনিয়াররা কাজ সম্পন্ন করেছেন। ঘটনাস্থলে রয়েছেন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান, ডি আর এম।
এদিকে, জেলা প্রশাসন সূত্রে একটি ভালো খবরও মিলেছে। জলপাইগুড়ি ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকা যাত্রীদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে শুক্রবার রাতে চার যাত্রীকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁরা হাসপাতালে থাকতে চাইছিলেন না। বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন। তাই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শারীরিক অবস্থা ভাল থাকলে শনিবারও কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। অন্যদিকে, ময়নাগুড়ি হাসপাতাল ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা যাত্রীদেরও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
আহতদের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে সন্তুষ্ট রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ স্বয়ং। জলপাইগুড়ি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আহতদের দেখার পর তিনি বলেন, “দুটি হাসপাতালের রোগীদের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁরা বলছেন চিকিৎসায় পরিষেবায় সন্তুষ্ট। চিকিৎসকরা ভালোভাবে কাজ করছেন। আহতরা তাঁদের ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আর যাঁদের পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। তাদের সঙ্গে ডাকের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে। ডাক অফিস ও পঞ্চায়েত অফিসের নাম জানা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: Municipal Corporation Election 2022: ভোট পিছিয়ে দিলে আপত্তি নেই, কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানাল রাজ্য