জলপাইগুড়ি: বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে যাবে পরিশ্রুত পানীয় জল (Drinking Water)। সেই উদ্যোগেই চালু কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প আম্রুত প্রকল্প (অটল মিশন ফর রিজুভেনেশন অ্যান্ড আরবান ট্রান্সফর্মেশন)। দেশের প্রতিটি রাজ্যের ঘরে-ঘরে যাতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে যায় সেই কারণেই এই উদ্যোগ কেন্দ্রের। অন্যথা হয়নি এই রাজ্যের ক্ষেত্রেও। প্রকল্পের টাকা ঢুকে গিয়েছে অনেক আগেই। তবে তা সাধারণ মানুষের বাড়ি-বাড়ি যায়নি। গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে। অন্তত তেমনটাই দাবি বিজেপি-র (BJP)
শনিবার সকালে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সংলগ্ন এলাকায় একটি চায়ের দোকানে চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। সেখানে বিজেপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে পৌরসভা সংক্রান্ত বিভিন্ন আলোচনা করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সায়ন্তন বসু বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার জলপাইগুড়ির মানুষকে পরিশ্রুত পানীয় জল দেওয়ার লক্ষে আম্রুত প্রকল্পের টাকা দিয়েছিল। কিন্তু মানুষ জল পায়নি। আর প্রকল্পের টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটস্থ হয়েছে। তাই আমরা এই প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দারস্থ হব।” পাশাপাশি তিনি যোগ করে বলেন, “পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে একাধিক প্রার্থীর নাম এসেছে। সেইসব জমা নেওয়া হচ্ছে। ভোট ঘোষণা হলে নাম ঘোষণা করা হবে।”
এদিকে, ছেড়ে দেয়নি জলপাইগুড়ি পৌর প্রশাসক বোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সন সৈকত চ্যাটার্জী। সায়ন্তন বসুকে কটাক্ষ করে কলকাতা থেকে প্রতিক্রিয়া দেন। বলেন, “সায়ন্তন বসু একটা গোবর গণেশ। সায়ন্তন বসু জলপাইগুড়ি আম্রুত প্রকল্প সম্বন্ধে কিছুই না জেনে মন্তব্য করেছেন। ইতিমধ্যে আম্রুত প্রকল্পের কাজের ৯০ শতাংশের বেশি হয়েছে। যেহেতু উনি বলেছেন এই প্রকল্পের টাকা তৃণমূল নেতারা পকেটে ভরেছে, এই কথাটা ওনাকে প্রমাণ করতে হবে। আর যদি উনি প্রমাণ করতে না পারেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পৌরসভা ভোট আসতেই গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে বিজেপি (BJP)। কোন ওয়ার্ডেকে প্রার্থী হতে পারে তা নিয়ে যেমন শুরু হয়েছে জল্পনা। পাশাপাশি তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি পৌরসভার বিভিন্ন অসমাপ্ত কাজকর্ম নিয়ে এলাকায় এলাকায় চর্চা শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই জলপাইগুড়ি পৌরসভার অসমাপ্ত আম্রুত প্রকল্প নিয়ে চলা জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।