জলপাইগুড়ি: ভয় আর সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে উপনির্বাচন জিতল তৃণমূল (TMC)। রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন (By Election)-এ বিজেপির ফলাফল প্রসঙ্গে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।
সুকান্তের দাবি, রাজ্যে নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি ছিলনা। বিজেপি-র বহু কর্মী এখনও ঘরছাড়া। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। আর দিনহাটার মার্জিন দেখলে সহজেই বোঝা যায় সেখানে কী হয়েছে, কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতির।
যদিও ফল নিয়ে হতাশ নন বলে দাবি সুকান্তের। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একা সাংসদ ছিলেন (তৃণমূলের)। সেখান থেকে তিনি ক্ষমতায় পৌঁছেছিলেন। সুতরাং, রাজনীতিতে হতাশা বলে কিছু হয়না। মমতার বোধহয় সে সময় ২৯ জন বিধায়ক ছিলেন। তাঁর চেয়ে আমরা ভাল জায়গায় আছি।”
যদিও উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন বিজেপি সাংসদ। ৪-০ ফলে উপনির্বাচনে তৃণমূলের কাছে পর্যদুস্ত হয়ে বালুরঘাটের সাংসদের প্রতিক্রিয়া, শুধু চার কেন্দ্র নয়, রাজ্যজুড়ে যে অবস্থা চলছে তা ভোট করার উপযুক্ত নয়। উপনির্বাচনে চরম সন্ত্রাস হয়েছে বলে দাবি করে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বলেন যেখানে ভোট নেই সেখানেও সন্ত্রাস হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থেকে বীরভূমের নানুর, যেখানে মাত্র ৬০০ ভোটে বিজেপি হেরেছিল সেখানে তাঁদের দলীয় কর্মীরা আজও বাড়িতে ঢুকতে পারেননি বলে দাবি তাঁর। বলেন, গোটা রাজ্য রাজনীতির যা অবস্থা, গণতন্ত্র নেই। তাই যা হবার তাই হয়েছে।
দিনহাটার উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ব্যঙ্গের হাসি হেসে বলেন, “ওখানকার ফলাফলই বলে দিচ্ছে কী হয়েছে। একটা উপনির্বাচনে মার্জিন এক লাখ ৪০ হাজার! ওখানে কী হয়েছে সবাই বোঝে। কেউ বোকা নয়।”
প্রসঙ্গত, একুশের ভোটে তৃণমূলের উদয়ন গুহ বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের কাছে ৫৭ ভোটে হেরেছিলেন। এবার সেখানেই দেড় লাখের বেশি ভোটে জয় তো পেয়েছেনই, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নিজের বুথেও বিজেপি হেরেছে। যদিও সমগ্র ফলে কারচুপি হয়েছে বলে পরোক্ষে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।
অন্যদিকে বাকি তিন কেন্দ্রেও অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটিয়েছে তৃণমূল। কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে বিজেপি। খড়দহ-দিনহাটা-গোসাবা তিনকেন্দ্রে জয়লাভ হলেও শান্তিপুর নিয়ে কিছুটা কপালে ভাঁজ ছিল শাসক দলের। কারণ, একুশের ভোটে ওই কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে বিজেপি। সেখানে কিছুটা মুখ রক্ষা করলেও বাকি তিন কেন্দ্রে জামানত জব্দ হয়েছে বিজেপির। তবে পুরো ভোটে র ফলাফলকেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি।
এর পর পুরভোট স্বচ্ছ হবে বলেও আশাবাদী সুকান্তের কথায় সন্দেহের সুর। বলেন, ‘এই সরকারকে বিশ্বাস নেই’।
আরও পড়ুন: Shantipur By-Election 2021: ধোপে টিকল না বিতর্ক, বিজেপির জেতা কেন্দ্রেই জয় ছিনিয়ে নিল ঘাসফুল