Shantipur By-Election 2021: ধোপে টিকল না বিতর্ক, বিজেপির জেতা কেন্দ্রেই জয় ছিনিয়ে নিল ঘাসফুল

Nadia: বেলা ২টোর পরে, ১৬ রাউন্ড গণনার শেষে দেখা যায়, শান্তিপুরে ৬৪ হাজার ৪৩৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। পরাজিত নিরঞ্জন বিশ্বাস ও কংগ্রেস প্রার্থী রাজু সাহা।

Shantipur By-Election 2021: ধোপে টিকল না বিতর্ক, বিজেপির জেতা কেন্দ্রেই জয় ছিনিয়ে নিল ঘাসফুল
শান্তিপুরে জয়ী তৃণমূল, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2021 | 3:14 PM

নদিয়া: বঙ্গ উপনির্বাচনে ফোটোফিনিশ জয় তৃণমূলের (TMC)। রীতিমতো বিধ্বস্ত বিজেপি। ধারেকাছেই কার্যত ঘেঁষতে পারেনি বাম শিবির। খড়দহ-দিনহাটা-গোসাবা তিনকেন্দ্রে জয়লাভ হলেও শান্তিপুর নিয়ে কিছুটা কপালে ভাঁজ ছিল শাসক দলের। কারণ, পূর্বে ওই কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে বিজেপি। কিন্তু, উপনির্বাচনে ‘কী হয় কী হয়’ এই ভাব কাটিয়ে অবশেষে রেকর্ড জয় তৃণমূলের। এদিকে, এই কেন্দ্রে গণনা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

বেলা ২টোর পরে, ১৬ রাউন্ড গণনার শেষে দেখা যায়, শান্তিপুরে ৬৪ হাজার ৪৩৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। পরাজিত নিরঞ্জন বিশ্বাস ও কংগ্রেস প্রার্থী রাজু সাহা। জয়লাভের পর ব্রজকিশোরের দাবি, তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে তৃণমূলই জয়লাভ করবে। নির্বাচন নিয়ে তাই তিনি বা তৃণমূলের অন্য কোনও কর্মী বিশেষ চিন্তা করেননি।

যদিও শান্তিপুরে গণনা পূর্বেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কী করে গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, প্রশ্ন বিজেপির।  শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের গণনাকেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে বিজেপির জগন্নাথ সরকার অভিযোগ তোলেন, গণনা শুরুর আগে ভিতরে গিয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি গণনা প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন। যদিও বিজেপি সাংসদের অভিযোগ নিয়ে মহুয়া মৈত্রের পাল্টা তোপ, “অশিক্ষিত বক্তব্যের উত্তর দেওয়ার কোনও ইচ্ছা আমার নেই।”

জগন্নাথ অভিযোগ তোলেন, “নির্বাচনী ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে। এটা আমরা পরিষ্কার বলছি। কোনও ভিভিআইপির কিন্তু ভিতরে যাওয়ার এক্তিয়ার নেই। এদিকে আমরা শুনলাম কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র ভিতরে গিয়েছেন। কী করে যান? দেখভালের দায়িত্বে যারা রয়েছে, অফিসার যাঁরা রয়েছেন তাদের পক্ষপাতিত্ব না থাকলে কী ভাবে গেলেন? তিনি কাউন্টিংকে প্রভাবিত করবেন। আমি কিন্তু ভিতরে ঢোকার চেষ্টাও করিনি। আমার এক্তিয়ার নেই বলেই চেষ্টা করিনি। আমাদের তীব্র আপত্তি সাংসদ মহুয়া মৈত্র ভিতরে গিয়েছেন। উনি যেতে পারেন না।”

যদিও এ নিয়ে মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য, “নিয়ম অনুযায়ী যদি সাংসদ, বিধায়ক সরকারি নিরাপত্তা রক্ষী নেন তবে তিনি কাউন্টিং এজেন্ট হতে পারেন না। আমি বিধায়ক থাকাকালীনও সরকারি নিরাপত্তারক্ষী নিইনি, সাংসদ থাকাকালীনই নিই না। আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীও নিইনি। আরও হ্যান্ডবুকে পেজ নম্বর ১৯৬-এ স্পষ্ট করে যা বলা আছে, আমি তা মেনেই গিয়েছি। আমার আইডি কার্ডটা নির্বাচন কমিশনই দিয়েছে।”

এদিকে, অভিযোগ পেয়ে মহুয়া মৈত্রকে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশন। বেআইনি ভাবে তিনি গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন। রিটার্নিং অফিসার (RO) তাঁকে বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। সমস্ত বিতর্ক সরিয়ে অবশেষে শান্তিপুরে জয়লাভ তৃণমূলের।

বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুর বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। প্রায় ৩০ হাজার বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি। কিন্তু ফল প্রকাশের পর তিনি পদত্যাগ করেন। সাংসদ পদ বেছে নিয়েই পদত্যাগ করেন তিনি। শান্তিপুরে তৃণমূলের প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী, বিজেপির প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস, সিপিএমের প্রার্থী সৌমেন মাহাতো। কংগ্রেসও প্রার্থী দেয়। রাজু পাল এখানে কংগ্রেসের মুখ। অর্থাৎ শান্তিপুরের উপনির্বাচনে এবার চর্তুমুখী লড়াই হয়েছে।

আরও পড়ুন: Subhas Sarkar: ‘মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে ভয় পান’