AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে সৎ মা’কে মেরে বাড়ির উঠোনে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ, আটক দুই মেয়ে

Jalpaiguri: কেন প্রৌঢ়ার দেখা মিলছে না, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন প্রতিবেশীরা। শেষ পর্যন্ত প্রৌঢ়ার খোঁজ করতে তাঁরা লক্ষ্মী মাঝির বাড়িতে যান। সেই বাড়িতে যেতেই প্রতিবেশীদের নাকে যায় উগ্র ও ঝাঁঝাল গন্ধ। অনেকটা ফিনাইল-জাতীয় রাসায়নিকের গন্ধ। উঠোনের এক জায়গায় কবর চাপা দেওয়ার মতো নরম মাটিও তাঁদের নজরে আসে।

Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে সৎ মা'কে মেরে বাড়ির উঠোনে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ, আটক দুই মেয়ে
জলপাইগুড়িতে প্রৌঢ়ার দেহ উদ্ধার
| Edited By: | Updated on: Jun 03, 2023 | 8:52 AM
Share

জলপাইগুড়ি: সৎ মা-কে মেরে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই মেয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) পাহাড়পুরের জমিদারপাড়া এলাকায়। লক্ষ্মী মাঝি নামে বছর ৫৮-র ওই প্রৌঢ়ার স্বামী অনেকদিন আগেই মারা গিয়েছেন। প্রৌঢ়া থাকতেন তাঁর দুই সৎ মেয়ে পিঙ্কি মাঝি ও রিঙ্কি মাঝির সঙ্গে। কিন্তু গত প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রৌঢ়াকে এলাকায় দেখতে পাচ্ছিলেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। তখন থেকেই তাঁদের মনে সন্দেহ জাগছিল। কেন প্রৌঢ়ার দেখা মিলছে না, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন প্রতিবেশীরা। শেষ পর্যন্ত প্রৌঢ়ার খোঁজ করতে তাঁরা লক্ষ্মী মাঝির বাড়িতে যান। সেই বাড়িতে যেতেই প্রতিবেশীদের নাকে যায় উগ্র ও ঝাঁঝাল গন্ধ। অনেকটা ফিনাইল-জাতীয় রাসায়নিকের গন্ধ। উঠোনের এক জায়গায় কবর চাপা দেওয়ার মতো নরম মাটিও তাঁদের নজরে আসে।

একদিকে ফিনাইলের গন্ধ, উঠোনে নরম মাটি… আর এদিকে লক্ষ্মীদেবীর কোনও দেখা নেই। দুই মেয়েকে প্রশ্ন করাতেও, তাঁদের থেকে কোনও সদুত্তর পাননি গ্রামবাসীরা। তাতে সন্দেহ আরও বাড়ে প্রতিবেশীদের। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয় ওই প্রৌঢ়াকে মেরে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। কারণ, তাঁদের দাবি দুই মেয়ে তাঁদের সৎ মায়ের উপর অনেকদিন ধরেই অত্যাচার চালাত। এই নিয়ে অশান্তিও লেগে থাকত বাড়িতে। এমন অবস্থায় স্থানীয় পঞ্চায়েতকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানায় যান গ্রামবাসীরা। কেন প্রৌঢ়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, কী হয়েছে তাঁর সঙ্গে, সেই বিষয়ে তদন্তের জন্য থানায় একটি দাবিপত্র জমা দেন গ্রামবাসীরা।

গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীদেবীর বাড়িতে যায় পুলিশ। সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট। শুরু হয় সন্দেহজনক ওই নরম মাটিযুক্ত জায়গাটি খোঁড়ার কাজ। শেষ পর্যন্ত গতকাল সন্ধেয় বাড়ির উঠোন থেকেই লক্ষ্মী মাঝির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে দেহ উদ্ধারের পরই পুলিশ দুই মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রৌঢ়ার দুই মেয়ে পুলিশকে জানিয়েছে, তাদের মা অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই মারা গিয়েছেন। কিন্তু প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ভাল না হওয়ার কারণে, কাউকে খবর দেওয়া হয়নি এবং বাড়িতেই দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। যদিও এই জবাবে সন্তুষ্ট নয় পুলিশ। মৃতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে।