CM Mamata Banerjee: উদ্ধারের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া উচিত: মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এখানে ১২ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ৫৬টা নদীর জল ছেড়েছে। সিকিমে ১৪টা হাইড্রেলপাওয়ার। ওইগুলোর জন্য জল বইতে পারছে না। গরমে তিস্তায় জল নাই, শুকনো। আর বর্ষায় তিস্তা ডুবে যায়। ফ্লোরিডাতেও হাজার লোক তলিয়ে গেছে। পাহাড়ে ভূমিকম্প বেশি হয়। এখানে পাহাড় জঙ্গল আছে। বনেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।
উত্তরকন্যা: নিম্নচাপের বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গে ভয়ঙ্কর অবস্থা। ব্রিজ ভেঙেছে, রাস্তা ধসেছে, বাড়ি-ঘর সব শেষ হয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে একাধিক ব্যক্তির। এই পরিস্থিতিতে সবটা দেখতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় পুজো কার্নিভাল রবিবার শেষ হতেই, সোমবার সকাল-সকাল রওনা দেন তিনি। আজ সেখানেই থাকবেন। তারপর বুধবার ফিরে আসবেন মমতা। এ দিন উত্তরকন্যা থেকে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করেন। কী কী বললেন তিনি?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হয় উদ্ধারের জন্য। কেউ কেউ রাজনীতি করছে, তখন কেন কার্নিভাল হল? আরে এটা বাংলার গর্ব। এত ক্লাব আশা করে বসে আছে, তাদের কোনও মূল্য নেই? ফরেন টুরিস্ট ছিল ক্যান্সেল সম্ভব? তাছাড়া সেদিন এসে কী করতাম? আমাদের বা ভিআইপি দেখতে গিয়ে রেসকিউ হত না? পুলিশ কাকে সামলাবে? দমকল কাকে সামলাবে? প্রাথমিক কর্তব্য কোনটা? বিপদের সময় তো মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তো কাজ। নাকি শুধু ভিআইপিদের ট্রিটমেন্ট দেবে?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ভিআইপির নাম করে ৩০টা গাড়ি ৪০ টা গাড়ি নিয়ে ঢুকছে। আমি তিনটে গাড়ি নিয়ে যাই…একটা সামনে থাকে, একটা মাঝে আর একটা পিছনে। একে রাস্তা খারাপ। তারপর যদি ৪০ টা গাড়ি নিয়ে ঢুকি তাহলে কি পাহাড়ে প্রেশার পড়ে না? আমি তাই স্ট্রিকলি বলেছি, আমাদের কেউ গেলে ৩টের বেশি গাড়ি নিয়ে যাবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ২৪ ঘণ্টা ওদের টাইম দেওয়া হয়েছে উদ্দারের। এমন অনেক ঘটনা হয়েছে যেখানে দেখা গেছে মা মারা গেছে, বাচ্চারা বেঁচে আছে। এমন ৬-৭টা কেস আছে। আমরা যদি আসতাম সেই সময়, আমায় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যেত। অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আমায় নিয়ে ব্যস্ত হত আমরা চাই না। ওই সময় অসহায় অবস্থা কাটাতে খুব ঠান্ডা মাথায় সমস্যার সমাধান করতে হয়। তাই আমরা যতটা পেরেছি কথা বলেছি। ২১টা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এখন অনেকেই নিজেদের ইচ্ছা মতো রিপোর্ট দিচ্ছে। সব রাস্তা সব ব্রিজ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আর আমাদের কেন্দ্র এক টাকাও দেয়নি। গতকাল নাগরাকাটা ব্রিজের কাজ শুরু করেছে PWD। আমি নিজে ওদের থেকে ব্যাপার বুঝে কাজ শুরু করেছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: মারা গেল ধসে। বলে দিল ব্রিজ ভেঙে মরে গেছে। ব্রিজ তো অনেকে ভেঙেছে, অন্য রাজ্যে। মহাকুম্ভ কি বিপর্যয় ছিল না? ঘোষণা করেছে?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এখানে ১২ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ৫৬টা নদীর জল ছেড়েছে। সিকিমে ১৪টা হাইড্রেলপাওয়ার। ওইগুলোর জন্য জল বইতে পারছে না। গরমে তিস্তায় জল নাই, শুকনো। আর বর্ষায় তিস্তা ডুবে যায়। ফ্লোরিডাতেও হাজার লোক তলিয়ে গেছে। পাহাড়ে ভূমিকম্প বেশি হয়। এখানে পাহাড় জঙ্গল আছে। বনেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: রোহিণীতে কাজ শুরু হয়েছে। ১০-১১ দিনের মধ্যে শেষ হবে। মিরিকে নতুন পাকা ব্রিজ তৈরি হয়েছে। ভগবানকে ধন্যবাদ, ব্রিজ চাপা পড়ে কিছু হয়নি। তাতেও কিছু টাকা লাগবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ছোট ছোট কাঠের ব্রিজ তলিয়ে গেছে। সেটা তৈরি হবে। একমাস ধরে জিআর চলবে। যাদের সব চলে গিয়েছে সরকার কিট দেবে। তাতে চাল-ডাল-গ্যাস-জামাকাপড়-বেবি ফুড সব থাকবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: অনেক কমিউনিটি কিচেন চলছে চারদিকে। আমি কালকে চলে যাব। আবার দু’তিন দিনের মধ্যে আবার আসব। আমি যাচ্ছি কারণ, বিড়লায় খড়গপুরে উদ্বোধন আছে। এক মাস আগে ডেট নিয়েছে। সেই কারণে যাচ্ছি।
উত্তরকন্যা: নিম্নচাপের বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গে ভয়ঙ্কর অবস্থা। ব্রিজ ভেঙেছে, রাস্তা ধসেছে, বাড়ি-ঘর সব শেষ হয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে একাধিক ব্যক্তির। এই পরিস্থিতিতে সবটা দেখতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় পুজো কার্নিভাল রবিবার শেষ হতেই, সোমবার সকাল-সকাল রওনা দেন তিনি। আজ সেখানেই থাকবেন। তারপর বুধবার ফিরে আসবেন মমতা। এ দিন উত্তরকন্যা থেকে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করেন। কী কী বললেন তিনি?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হয় উদ্ধারের জন্য। কেউ কেউ রাজনীতি করছে, তখন কেন কার্নিভাল হল? আরে এটা বাংলার গর্ব। এত ক্লাব আশা করে বসে আছে, তাদের কোনও মূল্য নেই? ফরেন টুরিস্ট ছিল ক্যান্সেল সম্ভব? তাছাড়া সেদিন এসে কী করতাম? আমাদের বা ভিআইপি দেখতে গিয়ে রেসকিউ হত না? পুলিশ কাকে সামলাবে? দমকল কাকে সামলাবে? প্রাথমিক কর্তব্য কোনটা? বিপদের সময় তো মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তো কাজ। নাকি শুধু ভিআইপিদের ট্রিটমেন্ট দেবে?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ভিআইপির নাম করে ৩০টা গাড়ি ৪০ টা গাড়ি নিয়ে ঢুকছে। আমি তিনটে গাড়ি নিয়ে যাই…একটা সামনে থাকে, একটা মাঝে আর একটা পিছনে। একে রাস্তা খারাপ। তারপর যদি ৪০ টা গাড়ি নিয়ে ঢুকি তাহলে কি পাহাড়ে প্রেশার পড়ে না? আমি তাই স্ট্রিকলি বলেছি, আমাদের কেউ গেলে ৩টের বেশি গাড়ি নিয়ে যাবে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ২৪ ঘণ্টা ওদের টাইম দেওয়া হয়েছে উদ্দারের। এমন অনেক ঘটনা হয়েছে যেখানে দেখা গেছে মা মারা গেছে, বাচ্চারা বেঁচে আছে। এমন ৬-৭টা কেস আছে। আমরা যদি আসতাম সেই সময়, আমায় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যেত। অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আমায় নিয়ে ব্যস্ত হত আমরা চাই না। ওই সময় অসহায় অবস্থা কাটাতে খুব ঠান্ডা মাথায় সমস্যার সমাধান করতে হয়। তাই আমরা যতটা পেরেছি কথা বলেছি। ২১টা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এখন অনেকেই নিজেদের ইচ্ছা মতো রিপোর্ট দিচ্ছে। সব রাস্তা সব ব্রিজ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আর আমাদের কেন্দ্র এক টাকাও দেয়নি। গতকাল নাগরাকাটা ব্রিজের কাজ শুরু করেছে PWD। আমি নিজে ওদের থেকে ব্যাপার বুঝে কাজ শুরু করেছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: মারা গেল ধসে। বলে দিল ব্রিজ ভেঙে মরে গেছে। ব্রিজ তো অনেকে ভেঙেছে, অন্য রাজ্যে। মহাকুম্ভ কি বিপর্যয় ছিল না? ঘোষণা করেছে?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এখানে ১২ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ৫৬টা নদীর জল ছেড়েছে। সিকিমে ১৪টা হাইড্রেলপাওয়ার। ওইগুলোর জন্য জল বইতে পারছে না। গরমে তিস্তায় জল নাই, শুকনো। আর বর্ষায় তিস্তা ডুবে যায়। ফ্লোরিডাতেও হাজার লোক তলিয়ে গেছে। পাহাড়ে ভূমিকম্প বেশি হয়। এখানে পাহাড় জঙ্গল আছে। বনেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: রোহিণীতে কাজ শুরু হয়েছে। ১০-১১ দিনের মধ্যে শেষ হবে। মিরিকে নতুন পাকা ব্রিজ তৈরি হয়েছে। ভগবানকে ধন্যবাদ, ব্রিজ চাপা পড়ে কিছু হয়নি। তাতেও কিছু টাকা লাগবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ছোট ছোট কাঠের ব্রিজ তলিয়ে গেছে। সেটা তৈরি হবে। একমাস ধরে জিআর চলবে। যাদের সব চলে গিয়েছে সরকার কিট দেবে। তাতে চাল-ডাল-গ্যাস-জামাকাপড়-বেবি ফুড সব থাকবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: অনেক কমিউনিটি কিচেন চলছে চারদিকে। আমি কালকে চলে যাব। আবার দু’তিন দিনের মধ্যে আবার আসব। আমি যাচ্ছি কারণ, বিড়লায় খড়গপুরে উদ্বোধন আছে। এক মাস আগে ডেট নিয়েছে। সেই কারণে যাচ্ছি।